অড্রে মেস্ট্রের জীবন কাহিনী নিয়ে এক সিনেমার মাধ্যমে তাকে আমার জানা হয় এবং তার জীবনে কাহিনীটা ভিষন আমায় হ্রদয় মাতিয়েছেন লেখক (মেস্ট্রের স্বামী) তার জীবনের রহস্য জানতে এখনো খুজে বেড়াই নেটওয়ার্ক জগতের এ দুয়ার ওই দুয়ার : Mridul Chandra Mondal

মেস্ট্রের জন্ম সেন্ট-ডেনিস , সেইন-সেন্ট-ডেনিসে , একটি স্নরকেলিং এবং স্কুবা ডাইভিং উত্সাহীদের পরিবারে। তিনি যখন শিশু ছিলেন তখন তিনি সাঁতার শুরু করেছিলেন এবং দুই বছর বয়সে 25 মিটার সাঁতার প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। তিনি তের বছর বয়সে একজন পাকা স্কুবা ডাইভার হয়েছিলেন কিন্তু ফরাসি আইনের কারণে তার ষোড়শ জন্মদিন পর্যন্ত সম্পূর্ণ শংসাপত্র পাননি। ^[১] তিনি তখনও কৈশোরে ছিলেন যখন তার পরিবার মেক্সিকো সিটিতে চলে আসে এবং স্প্যানিশ ভাষায় সাবলীল , তিনি শেষ পর্যন্ত মেক্সিকোর লা পাজের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সামুদ্রিক জীববিজ্ঞান অধ্যয়ন করেন ।

ফ্রান্সিসকো "পিপিন" ফেরেরাসের সাথে সম্পর্ক:
1996 সালে আন্ডারওয়াটার স্পোর্টসে তার আগ্রহের কারণে ফ্রি- ডুইভার ফ্রান্সিসকো "পিপিন" ফেরেরাসের সাথে দেখা হয়েছিল । তারা একটি সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং মেস্ট্রে শীঘ্রই ফেরেরাসের সাথে বসবাসের জন্য ফ্লোরিডার মিয়ামিতে চলে যান । সেখানে, তিনি গুরুতর ফ্রি-ডাইভিং নিয়েছিলেন এবং ফেরেরাসের সাথে তার প্রশিক্ষক শীঘ্রই রেকর্ড গভীরতায় পৌঁছেছিলেন। 1999 সালে দুই ডাইভিং প্রেমিকের বিয়ে হয় এবং পরের বছর, ফোর্ট লডারডেলের উপকূলে , অড্রে মেস্ত্রে এক নিঃশ্বাসে 125 মিটার (410 ফুট) গভীরতায় বিনামূল্যে ডাইভিং করে মহিলা বিশ্ব রেকর্ড ভেঙে দেন। এক বছর পরে, তিনি 130 মিটার (427 ফুট) পর্যন্ত নেমে তার নিজের রেকর্ডটি ভেঙে দেন।

2002 সালের অক্টোবরে, মেস্ত্রে 160 মিটার নো-লিমিট ফ্রি-ডাইভিং বিশ্ব রেকর্ডটি ভাঙার প্রথম প্রয়াসে মারা যান যেটি তানিয়া স্ট্রিটারের কয়েক সপ্তাহ আগে 17 আগস্ট, 2002-এ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল (সে সময়ে এটি ছিল পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের অফিসিয়াল AIDA রেকর্ড। )

4 অক্টোবর, 2002-এ, তার স্বামীর তত্ত্বাবধানে একটি ডুবুরি দলের সাথে, তিনি ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের বায়াহিবে সমুদ্র সৈকতে 166 মিটার (545 ফুট) রেকর্ড গভীরতায় একটি অনুশীলন ডাইভ করেছিলেন। আরও গভীর ডাইভ অনুশীলনের পর, 12 অক্টোবর তিনি 171 মিটারে ডাইভ করার চেষ্টা করার জন্য প্রস্তুত হন। 171 মিটারে পৌঁছে তিনি লিফ্ট ব্যাগটি স্ফীত করার জন্য এয়ার ট্যাঙ্কের ভালভটি খুললেন যা তাকে দ্রুত পৃষ্ঠে উঠিয়ে দেবে কিন্তু সিলিন্ডারে কোনও বাতাস ছিল না। একজন উদ্ধারকারী ডুবুরি এসে তার এয়ার সাপ্লাই দিয়ে লিফ্ট ব্যাগটি স্ফীত করে কিন্তু অপর্যাপ্ত স্ফীতি, একটি শক্তিশালী স্রোত এবং রাইজার দড়িটি উল্লম্ব না হওয়ার কারণে ব্যাগটি যথেষ্ট দ্রুত বাড়েনি। ^{[২] [৩] [৪]}একটি ডাইভ যা তিন মিনিটের বেশি হওয়া উচিত ছিল না তার ফলে তাকে সাড়ে আট মিনিটেরও বেশি সময় ধরে পানির নিচে থাকতে হয়েছিল। যখন তার স্বামী স্কুবা গিয়ার পরে এবং ঘুঘু তার অচেতন দেহটিকে পৃষ্ঠে আনতে তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল এবং তাকে তীরে অবস্থিত একটি হাসপাতালে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল।

ডাইভটি বিতর্কিত এবং ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছিল কারণ সেটআপটি সাধারণ ফ্রিডাইভিং সুরক্ষা মানগুলির সাথে মেলেনি। ডাইভিং সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ সমালোচনা তার স্বামী ফেরেরাসকে লক্ষ্য করে, যিনি এই রেকর্ড প্রচেষ্টার জন্য একটি স্বল্প তহবিলযুক্ত সংস্থাকে তাড়াহুড়ো করেছিলেন। প্রচেষ্টাটি পূর্বে পরবর্তী তারিখের জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছিল, খুব কম নিরাপত্তা ডুবুরি, পর্যাপ্ত সঠিক উদ্ধার সরঞ্জাম নেই এবং সমুদ্র বা তীরে কোনও ডাক্তার নেই। ফেরেরাস মেস্ট্রের লিফট ব্যাগের এয়ার ট্যাঙ্কের দায়িত্বে ছিলেন এবং দলের কোনো সদস্যকে ট্যাঙ্ক চার্জ করা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করতে দেননি। ডাইভের নয় মিনিট পর্যন্ত মেস্ত্রেকে সারফেসে পুনরুদ্ধার করা যায়নি। তার উপরিভাগে একটি নাড়ি ছিল, কিন্তু তার চিকিৎসা করার জন্য কোন চিকিত্সক উপলব্ধ ছিল না এবং ফেরেরাস তাকে জলে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করার সাথে কয়েক মিনিট নষ্ট হয়েছিল।^[৫]

অড্রে মেস্ত্রেকে দাহ করা হয়েছিল, তার ছাই সমুদ্রে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। 2002 সালে, তাকে মরণোত্তরভাবে উইমেন ডাইভারস হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল , ^[6] এবং আগস্ট 2004 সালে একটি বই যা তার গল্প বলে তার স্বামী লিখেছিলেন এবং দ্য ডাইভ: এ স্টোরি অফ লাভ অ্যান্ড অবসেশন ( আইএসবিএন  0 ) শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছিল -06-056416-4 )।

2013 সালে, Mestre এর জীবন এবং কর্মজীবন ইএসপিএন-এর নো লিমিটে তাদের নাইন ফর IX সিরিজের অংশ হিসাবে ক্রনিক করা হয়েছিল। 

সংগৃহীত

𝐸𝓀 𝐵𝑒𝓁𝒶𝓇 𝐿𝒾𝓅𝒾𝓀𝒶 ☑

কত মানুষ মুখের উপর কতকিছু বলে, অথচ আমি চোখের দিকে তাকিয়ে ভাবি মানুষটা কষ্ট পাবে না তো?

𝐸𝓀 𝐵𝑒𝓁𝒶𝓇 𝐿𝒾𝓅𝒾𝓀𝒶 ☑

নিঃস্বঙ্গতা ভয় পাও ক্যান?

নিঃস্বঙ্গতা কঠিন কিছু তো না। একটা দুইটা ফুটিয়ে খাবা, বই পড়বা, গান শুনবা। একলা কোথাও ঘুরতে যাবা। 

হঠাৎ যখন দেখবা কাউকে, মানুষ নিয়া ঘুরতেসে, একটুখানি উদাস হবা।

মনে হবে, মানুষ তোমারও হইতে পারতো। থাকতে পারতো। দোষ ছিল কি তাতে? একটা চিঠি অন্তত তুমি পাইতে পারতা।

কিন্তু হিসাব তো তুমি জানো। দিনশেষে মানুষ হারাইয়া যায়।  মানুষ কেবল একটা পুরোনো চিঠি হইয়া যায়। 

নিঃস্বঙ্গতা ভয় পেয়ো না। তুমি তো একলা না। তুমি নিজের সাথে আছো।

যখন নিজেরেও সহ্য করতে পারবা না, তখন বুঝবা, নিজেরে সহ্য করতে না পারার মতো নিঃস্বঙ্গতা আর নাই।

𝐸𝓀 𝐵𝑒𝓁𝒶𝓇 𝐿𝒾𝓅𝒾𝓀𝒶 ☑

শিক্ষনীয় একটা কাহিনী যা শুনলে আপনার জীবন বদলাতে সাহায্য করবে

সংগৃহীত ছবি

ছবিটি ১৯৩৭ সালে চেলসি বনাম চার্লটনের ম্যাচের।ঘন কুয়াশার কারণে রেফারি মাঝপথে খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন।সবাই ড্রেসিং রুমে ফিরে যায়।গোলরক্ষক স্যাম বাট্রাম রয়ে যান গোল পাহারায়।কুয়াশা যত বাড়ছে-তার সতর্কতাও তত বেশি বাড়ছে।পেছনে মানুষের কোলাহলে তিনি শুনতে পাননি রেফারির খেলা সমাপ্তির বাঁশী।অনেকক্ষণ পর- মাঠের একজন নিরাপত্তা কর্মী এসে তাঁকে জানায় ম্যাচটি প্রায় পনের মিনিট আগেই শেষ হয়ে গেছে।

স্যাম বাট্রাম বলেন- না এটা হতে পারেনা।আমি বিশ্বাস করিনা।খেলা শেষ হয়ে গেলে বন্ধুরা অবশ্যই আমাকে বলতো।আমাকে মাঠে একা রেখে ওরা চলে যেতোনা।একজন মানুষও কি ছিলোনা-যে আমার খোঁজ করবে। এরপর,সত্যি যখন বুঝলেন-আসলেই খেলা শেষ হয়ে গেছে। তখন,স্যাম গভীর এক দুঃখ পেলেন।খেলা শেষ হওয়ার জন্য না। বরং বন্ধুরা যে সত্যিই তাকে না জানিয়ে চলে গেছে সে জন্য। যাদের জন্য তিনিগোল পাহারায় দাঁড়িয়ে ছিলেন- তারা সবাই চলে গেলো। কেউ তার কথা একটিবার মনেও রাখলোনা।

জীবনটাও বুঝি এমনি একখেলার মাঠ। যেখানে সময় দিয়ে, সামর্থ্য দিয়ে যাদের জন্য ডিফেন্ড করে প্রয়োজনে পাশে দাঁড়িয়ে সাপোর্ট করে- সামান্য কুয়াশার পরিস্থিতিতে তারাই এভাবে সব কিছু ভুলে চলে যায়। বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক হোন।

সংগৃহীত।

𝐸𝓀 𝐵𝑒𝓁𝒶𝓇 𝐿𝒾𝓅𝒾𝓀𝒶 ☑

পুরুষ মানুষের মন খারাপের অনেক কারন থাকে। টাকা পয়সা তার একটি

পুরুষ মানুষের মন খারাপের অনেক কারন থাকে। টাকা পয়সা তার একটি। এই জিনিষ টা ছাড়া পুরুষ হয়ে যায় হাঁফ লেডিস। 

ইন্টার্নীতে থাকার সময় যশোর থেকে এক টি বিয়ের প্রস্তাব এসেছিল। পাত্রীর ধনী বাবা আমাদের বাড়ী দেখতে এসে বাড়ির পথ থেকে পালিয়েছিল, ভিতরে আর আসে নি। এই বয়সে বিয়ের কোন আগ্রহ ছিল না আমার, সেটা চাইও নি, পাত্রীকেও চিনি না। তবুও একটা অদ্ভুত কষ্ট হয়েছিল সেদিন। কষ্টটা আমার জন্য নয়। আমাদের গোলপাতার বাড়িটার জন্য।

....

এক ব্যাচ সিনিয়র এক ভাইয়ের সাথে দেখা হল সেদিন। চেহারা শুকিয়ে গেছে, চোখ কোটরে ঢুকেছে। ভালবেসে বিয়ে করেছিল, কোর্ট ম্যারেজ। পরিবার মেনেও নিয়েছিল। নবম মাসের মাথায় ডিভোর্স দিয়েছে। ডিভোর্স হয়েছে উনি নিজেও জানতেন না। খবর টা শুনেছে অন্যের কাছে। একটা বিশাল অপরাধ করেছিলেন উনি::: জুলাইতে এফসিপিএস চান্স হয় নাই, বিসিএস প্রিলি হয় নাই। 

বিসিএস রিটেন দেওয়া রংপুর মেডিকেলের এক ছেলের সাথে নতুন করে শুরু করেছে মেয়েটা। 

কারো চাই টাকা, আর কারো চাই স্ট্যাটাস। ভালবাসা এখানে শ্বান্ত্বনা ।

ভাইটাও এখন শ্বান্তনা পায়। মেয়েটির উপর তার কোন অভিযোগ নেই। " ও ভেবেছিল আমি ভাল মেডিকেলে পড়ি, অনেক ব্রিলিয়ান্ট কেউ। আমি যে গড় পড়তামানের স্টুডেন্ট পরে বুঝেছে । বোঝার পর চলে গেছে। ওর কোন দোষ নেই।" এভাবেই বলেছিলেন উনি। 

.....

আপনি পুরুষ মানুষ হয়েছেন, আর আপনার বিসিএস নাই, এফসিপিএস নাই আবার টাকাও নাই। ভুলেও নিজেকে পুরুষ ভাববেন না। যেদিন বউ চলে যাবে সেদিন ই বুঝবেন নিজেকে ভুল জেনেছেন। 'ভালবাসার সাথে টাকার সম্পর্ক নেই' এই কথা যে বলে তার দুই গালে কষে থাপ্পড় দিন। নিকৃষ্টতম মিথ্যাটি সে আপনাকে বলেছে।

....

টাকা সবারই লাগে। অথচ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি থাকে পুরুষের পকেটে। এর ওজন ও ব্যাথা প্রতিটা পুরুষকে বইতে হয়। টাকা না থাকলে কোন মেয়ে অমানুষ হয়ে যায় না, কিন্তু একটি পুরুষ মহিলা হয়ে যায়।

টাকা আসে, আবার চলে যায়। মাঝ থেকে ভালবাসাটা নিয়ে গেলে আর কষ্টের সীমা থাকে না।

....

গতকাল ওয়ার্ডে দুই জন রুগী খারাপ ছিল। 27 বছরের এক মেয়ে , Sub Arachnoid haemorrhage ... ICU এর জন্য. councelling. করেছিলাম। টাকা দিয়ে হয়ত সুখ কেনা যায়, জীবন তো আর কেনা যায় না। তবুও আমাদের টাকাই সব।

..

যতবার বিয়ের কথা উঠেছে, ততবার ই আমি ভয় পেয়েছি। টাকা আমাকে আজীবন তাড়িয়ে বেড়িয়েছে। তাই বিয়ে - ভালবাসার কথা শুনলে ভয় পাই। ফার্স্ট ইয়ারে কেরানীগঞ্জ এর ওপারে যখন দেড় হাজার টাকার টিউশুনি করতাম, নদী পার হওয়ার ছয় টাকা আমার থাকত না। আধা কিলোমিটার হেটে ব্রিজ পার হতাম। আর আজ হাজার হাজার টাকা আয় করেও দেখি ঈদে বাড়ি যাওয়ার টাকা থাকে না। জীবন আসলে একই থাকে, শুধু সময় আর চক্র টা বদলায়। 

... 

একজন বিখ্যাত প্রফেসরের সাথে কথা বলতেছিলাম। উনি যখন ইন্টার্নীতে পাঁচ হাজার টাকা বেতন পেতেন তখন দুই হাজার টাকা ঘাটতি থাকত। এখন বিশ লাখ টাকা আয় করেও দুই লাখ টাকা ঘাটতি থাকে। কাকে কি বলব??

...

সতের শ টাকায় যখন মাস চলত। তখনও পকেটে একটা টি শার্ট কেনার মত টাকা থাকত না। আর আজ নিজের খরচই হয় ষোল হাজার টাকা। আজও টি শার্ট কেনার টাকা নাই। 

...

আমি এই হিসেব বুঝি না।

-ডা: আব্দুর রব

𝐸𝓀 𝐵𝑒𝓁𝒶𝓇 𝐿𝒾𝓅𝒾𝓀𝒶 ☑