অবহেলা থেকে ভালোবাসা

কিন্তু অনিকা আমাকে বলে এই সব নেকামো না করতে।
আমি বুঝতে পারি না আমার ভালোবাসাকে অনিকা নেকামো মনে করে।
কিন্তু কেনো
সেদিন রাত এ অনিকা অনেক রাত করে বাসায় ফিরে।।
আমি।ওকে জিজ্ঞাস করতে গেলে ও বললো অর যখন ইচ্ছা যেখানে ইচ্ছা যাবে
তাতে আমার কি??
এই কথা শুনা

মাথায় রক্ত চেপে গেলো...
আমি বললাম আমার কি মানে?? আমি তোর স্বামী তুই যেহেতু আমার বাসায় থাকছিস সো তর সব দায়িত্ব আমার তুই কখন কোথায় যাবি কি করবি সব আমার কাছে বলে জাবি।।।।
অনিকা আমার এই রকম ব্যাবহার এ ভয় পেয়ে যায়
যার ফলে ও আর কথা না বলে ফ্রেশ হতে চলে যায়।
আমিও অর জন্য খাবার টেবিল এ অপেক্ষা করতে থাকি।।
কিন্তু ও বলে ও নাকি বাহির থেকে খাবার খেয়ে এসেছে।।।
খুব কষ্ট হচ্ছিলো তখন কিন্তু কিছু বলতে পারি নাই।সহ্য করে নিয়েছি।কারন আমার বিশ্বাস অনিকা একদিন সব ভুল বুঝতে পারবে।।।আর আমি সেই দিন এর অপেক্ষাতে আছি।

এভবে চলছে দিন গুলো দিন এর পর দিন আমি অর প্রতি যত কেয়ারিং হচ্ছি ও তত আমাকে অপমান করছে
আমিও মুখ বুঝে সব সহ্য করে নিচ্ছি।।।।

একদিন অনিকার বাবা তার বাসায় আমাদের যেতে বলে।।।
অনিকা আমাকে বলে ওখানে এ গিয়ে নরমাল ভাবে থাকতে আর সব সময় হাসি খুশি থাকতে।।
অনিকার বাবার বাসায় গিয়ে আংকেল কে প্রথমে সালাম দেই।
তারপর 
অনিকার বাবাঃতোমার কেমন আছো বাবা??
আমিঃজি আব্বা আমারা ভালো আছি।।
আপনার মেয়ের মত বউ যার আছে সে কি করে খারাপ থাকবে।।
অনিকার বাবাঃএটাই ভালো তা মেয়ে সব কথা শুনে তো
আমিঃহ্যা বাবা সব শুনে আমার কথা না শুনে ঘর থেকেও বের হয় না।আমাকে না খাইয়ে ও নিজেও কিছু খায় না।।।
আমি না ঘুমালে ও ওর কলে মাথা রাখতে বলে তারপর মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয়।।।
কথা গুলো বলার সময় অনিকা এমন ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো জেনো আমাকে গিলে খাবে
আমি আর কথা না বলে বললাম আমারা এখন ভিতরে যাই আব্বা
ফ্রেশ হয়ে নেই।।।
অনিকার বাবাঃও হ্যা বাবা যাও ভিতরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও
তার পর আমরা রুম এ চলে আসলাম
রুম এ ঢোকা মাত্রইই অনিকা বললো অই তুই অই কথা গুলো কেনো বললি।
আমিঃআর এ আব্বা কে বোঝাতে হবে না আমরা কত সুখে আছি।।।
অনিকা আমাকে ছেড়ে দিয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেলো।।
খাবার টেবিল এ বসে 
বললাম অনিকা ও অনিকা খেতে ভালো লাগছে না
একটু খাইয়ে দাও না।।।
যেভাবে প্রতিদিন দাও।
অনিকা কিন্তু
কিন্তু কি আমি আছি বলে লজ্জা পাচ্ছো নাকি আর এ লজ্জা পাবার কি আছে
দাও জামাই কে খাইয়ে দাও অনিকা তখন বাধ্য হয়ে আমাকে খাইয়ে দিলো।।
খুব ভালো লাগছিলো।।।।
সেদিন রাত্রি বেলা ঘুমানোর সময় এই শোন তুই আজ আমার সাথেই শুবি বলা তো জায় না আব্বু কখন এসে পরবে।।।
আমি তো মহা খুশি বউ এর সাথে শুতে পারবো বলে।।।
শুয়ে ছিলাম কিন্তু রাত এ প্রচন্ড। ব্যাথ্য ঘুম ভেংগে গেলো মানে অনিকা আমাকে আমাকে চর মেরেছে।।।
কেনো মেরেছে?????
অনিকার বক্তাব্য হলো আমি নাকি ওকে জড়িয়ে ধরেছিলাম তাই বললো ছোট লোক এর বাচ্চা তকে আমার সাথে থাকতে দিয়েছি বলে এই না যে তুই আমাকে টাচ করবি।।।
ধুর গেলো মেজাজ খারপ হয়ে 
তাই উঠে সোফায় শুয়ে পরলাম
।।।।।
এভাবে চললো
একদিন বন্ধুর সাথে আড্ডা দিতে গেছি
মন খারাপ করে বসে ছিলাম
বন্ধুঃকিরে মন খারাপ কেনো
আমি; না তেমন কিছু না
বন্ধুঃবুঝেছি ভাবির সাথে কিছু হয়েছে,,,,চিন্তা করিস না সব ঠিক হয়ে যাবে
আমি বললাম কিছু ঠিক হবে নারে।।
বন্ধু বললো কেনো??
তারপর শুরু থেকে শেষ সব বন্ধুকে বল্ললাম।
বন্ধুঃবলিস কি এতো কিছু হয়ে গেছে আর তুই আমাদের কিছু জানালি না???
আমি;কি করবো বল না
বন্ধুঃশুন তুই আজ থেকে অনিকার প্রতি কেয়ারিং টা কমিয়ে দিবি
অনিকাকে অর ইচ্ছা মতো চলতে দিবি তুই অর কোন ব্যাপারে কোন কথা বলবি না
অর জা ইচ্ছা করুক তুই।কিছু বলতে যাস না
দেখবি একদিন ঠিক তর স্থান টা বুঝবে

আমিঃ সেই দিন কবে আসবে রে।
আমি তো অনিকাকে অনেক ভালোবাসি অনেক
বন্ধুঃচিন্তা করিস না খুব তাড়াতাড়ি

বুঝতে পারবে।
তার পর আমার বন্ধুটি আমাকে নিয়ে রেস্টুরেন্ট এ খেতে গেলো আমি
খেয়ে বাসায় এসে অনিকা খেয়েছে কিনা তা জানতে না চেয়ে শুয়ে পরলাম। এর পর থেকে অনিকা কখন কি করে কোথায় যায় না যায় কিছু জানতে চাইতাম না।।
এভাবে চললো কিছুদিন

তার পর ১৫ দিন এর জন্য অফিস এর কাজের জন্য আমাকে কুমিল্লা যেতে হয়েছিলো।।।
আমি কুমিল্লা থাকা অবস্থায় অনিকাকে এক বার এর জন্য একটা কল বা এসএমএস কিছু করি নাই।।।।
কুমিল্লা হতে ফেরার পথে আমাদের গাড়ি accident
করে তার পর আমার আর কিছু মনে নাই।।।।
জ্ঞান ফিরতে দেখি আমি হাসপাতাল এর বেডে শুয়ে আছি
আমার পাশে অনিকা বসে আসে।।। 
হায় হায় এ আমি কি দেখছি
অনিকার চেহারার এ কি অবস্থা
চোখের নিচে কালো দাগ।
মুখ শুকনো হয়ে গেছে।।
আমি জানতে পারলাম আমার নাকি আজ ৪দিন পর জ্ঞান আসলো।
আমার জ্ঞান আসসে দেখে অনিকা আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে অনেক কিস টিস দিলো😍😍😍😍😍
আমি ওর এ রকম আচরনে অবাক।
ও জানতে চাইলো আমি ওকে এতো ভালোবাসি কিন্তু বললাম না কেনো।😡😡😡😡😡😡😡😡
আমি জিজ্ঞাস করলাম মানে??😛😛
ও বললো তুমি তোমার ডাইরিতে তে বউ নিয়ে তোমার স্বপ্ন লিখে রাখছিলে আমি সেটা পরেছি।।😉
আমি বললাম পরেছো ভালো কথা তো এই ছোট লোক কে জড়িয়ে ধিরে আসো কেনো লোকে জানলে কি বলবে ছাড়ো আমায়।।
আমি চায় না তুমি আমাকে জড়িয়ে ধরো।
ও আমার এই কথা গুলো শুনে আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললো এমন করে বলছো কেনো???
আমার ইচ্ছা হয়ছে তাই বলছি
তুমি আমার কেবিন থেকে বের হয়ে জাও
আমাকে একটু একা থাকতে দাও।
জাও বেরিয়ে জাও।।।
আমার ভালো লাগছে না তোমাকে। 
এখান থেকে বের হয়ে যাও।
আমার কথা গুলো শুনে অনিকা এক প্রকার কেদেই দিলো কিন্তু আমার কিছু করাই নাই অনিকাকে বুঝাতে হবে
ও আমার সাথে কেমন করেছে।।
কিছুদিন পর হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেয়।
আমি আমার বন্ধুর দেওয়া বুদ্ধি মতো চলতে থাকি

এখন আমি অনিকার কোন ব্যাপার এর খেয়াল

রাখি না

সকাল বেলা অফিস জাবো অনিকা দেখি আমার জন্য রান্না করে আমাকে খেতে ডাকছে।আমি বললাম বাহির এ গিয়ে খেয়ে নিবো।
ও হ্যা অনিকা এখন আর অফিস এ জায় না।।।
তাই অফিস এর সব কাজ আমাকেই করতে হয়।।😖😖😖
সে সারাদিন বাসায় থাকে আর নানান ভাবে আমার কেয়ার নিয়ার আমার সাথে সময় পার কথা চেষ্টা করে।।।।
কিন্তু আমি সেই সুযোগ দেই নাই।
অনেক কষ্ট পেয়েছি
রাত করে বাসায় এসে দেখি আনিকা খাবার টেবিল এ বসে আছে।।।।
আর খাবার গুলো সকালে যেভাবে ছিলো সেভাবেই আছে তার মানে অনিকা সারাদিন আ কিছু খায় নাই।।।
আমি কিছু না বলে ফ্রেশ হয়ে সোফায় শুয়ে পরলাম।।।
তার পরদিন ছিলো ছুটি এর দিন,,,তাই সারা দিন বাসায় ছিলাম বিকাল এ বাসা থেকে বের হবো ঠিক,, তখন অনিকাঃকোথায় যাও??
আমিঃঅনেক দিন হলো ঘুরতে যাই না,,, তাই একটু ঘুরে আসি।।।
অনিকাঃআমিও জাবো তোমার সাথে ঘুরতে।।
আমিঃসেকি এই ছোট লোক এর সাথে বাহিরে বের হলে মানুষ ছিঃ ছিঃ করবে।তুমি একলাই ঘুরতে বের হইয়ো।।।।
কিন্তু আমার খুব ইচ্ছা করছিল অনিকাকে সাথে নিতে।।।
কিন্তু সেই সময় এখনো আসেনী😡😡😡😡😡।।
আমি একাই বের হয়ে ঘুরাঘুরি করে অনেক রাত করে বাসায় আসলাম।।।
অনিকা আমাকে জিজ্ঞাস করলো আমি খাবো কিনা???
আমি বললাম না,,,,,,খেয়ে এসেছি।।।।
অনিকা আর কিছু না বলে অর রুম এ চলে গেলো।।
আর আমি শোফার শুয়ে পরলাম।।।
ঘুম ও এসে পরলো তাড়াতাড়ি।
কিন্তু হঠাত রাত ২ আনুমানিক ২তার দিকে আমার পায়ের কাছে ঠাণ্ডা কিছু অনুভব করলাম
আমি বুঝতে পারলাম অনিকা আমার পা ধরে কাদছে।।।
আমি সাথে সাথে পা সরিয়ে নিলাম।।
আর বললাম একি করছো?? ছোট লোক এর পা ধরে কেও বসে থাকে লোক এ জানলে কি বলবে।।। ছাড়ো
অনিকাঃআমি আমার স্বামী এর পা ধরেছি তাতে কার কি।।।
আমি তো অবাক অনিকা নিজে আমাকে স্বামী বলে দাবি করছে
তাও আমি বললাম
কে তোমার স্বামী??
অনিকাঃকে আবার তুমি।
আমিঃএই ছোট লোক তোমার স্বামী হতে পারে না।
অনিকাঃআমার। ভুল হয়ে গেছে আমাকে মাফ করে দাও।আমি না জেনে তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছি আমাকে মাফ করে দাও😞😞😞😞
আমিও অনেক কষ্ট পাচ্ছিলাম অনিকার কষ্ট আর কান্না দেখে তাই বলি মাফ করতে পারি তবে শর্ত আছে।
অনিকাঃ কি শর্ত??
আমাকে আবার নতুন করে কষ্ট দেওয়া চলবে না।।
অনিকাঃএই জীবন এ আর কষ্ট দিবো না।
আমি আচ্ছা ঠিক আছে।
অনিকা এই আমার সাথে একটু ছাদ এ জাবা??
আমি কেনো? 
চলোই না
আচ্ছা চলো
তার পর ছাদ এ গিয়ে আমি আর অনিকা পাশাপাশি বসে আছি।
আমি বললাম আচ্ছা অনিকা তুমি তো আমকে সহ্যই কর‍তে পারতে না
কিন্তু কি এমন হলো যে।

অনিকাঃ তুমি কুমিল্লা জাবার পর আমি তোমার ডাইরি পাই।
যেখানে তুমি লিখেছিলে বউ কে অনেক ভালোবাসবো

তাই বিয়ের আগে প্রেম করি নাই
আজ আমার বিয়ে হলো অনিকা নামের একটি মেয়ের সাথে।।।
বিয়ের প্রথম রাত এ বউ বললো সে নাকি আমাকে স্বামী এর অধিকার দিবে না।
আমার তখন খুব কষ্ট হয়েছিলো
কিন্তু ভেবেছিলাম হয়তো পরে ঠিক হয়ে যাবে
আজ অনিকা পড়ে যাচ্ছিলো আমি অকে ধরে উঠালাম কিন্তু ও আমায় চর মারলো
আমি তো ওর স্বামী আমার অকে ধরার অধিকার আছে সব স্বামীইই আছে
কিন্তু অনিকা সেটা আমাকে দেই নাই।।
জাই হোক অনিকা আমার উপর অনেক বিরক্ত ফিল করে তাই আর অর কোন বিষয় এ কিছু বলবো না
অনিকাঃজানো কথা গুলো পরে অনেক খারাপ লেগেছিলো।।।কিন্তু তার থেকে বেশি খারাপ লাগতে শুরু করে যখন তুমি আমার উপর থেকে সব দায়িত্ব সরিয়ে নাও।১৫দিন তোমাকে ছাড়া থেকে বুঝেছি তোমাকে ছাড়া আমি কতটা অসহায়।।।
কিন্তু তুমি আবারো আমাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করো
তখন আমি তোমার ভালোবাসা বুঝতে পারি।আর তোমার কেয়ারিং গুলোকে মিস করতে থাকি।আর তোমাকে কখন ভালোবেসে ফেলেছি নিজেও জানিনা।।
আমিঃআচ্ছা তোমার কোল এ মথা রাখতে পারি।।।
অনিকাঃমানা করেছে কে😛😛😛😛😛😛
আমি;কেও না যদি আবার চর দাও তাই জিজ্ঞাস করলাম।
অনিকা প্লিজ আমাকে মাফ করে দাও।আমার ভুল হয়ে গেছে আমার সব কিছুর উপর তোমার অধিকার
তুমি আমাকে যেভাবে চলতে বলবে আমি সেই ভাবেই চলবো কোনদিন তোমার কথার অবাধ্য হবো না।
আমিঃএকটা কথা বলি অনিকা।
অনিকা হুম বলো।
আমিঃআমি তোমাকে ভালোবাসি অনিকা।
অনিকা আমকে জরিয়ে ধরে উত্তর দিলো
আমিও তোমাকে ভালোবাসি অনেক ভালোবাসি 

বাসর ঘরের খোলা চিঠি

একটি মেয়ের বাসরঘর থেকে তার
প্রেমিক
এর নিকট চিঠি,,,,,
.
"ভালো আছো তুমি?
আমি অনেকক্ষণ ধরে ফুলে সাজানো এক
বিছানায় বসে আছি।পুরো খাটটা
গোলাপ ফুল
দিয়ে সাজানো।ওরা হয়তো জানে
না,আমার
গোলাপ ভালো লাগে না।
ঘরটাতে নিঃশব্দে
এসি চলছে।পুরো দমবন্ধ একটা পরিবেশ।
আজ আমার বিয়ের প্রথম রাত।যার সাথে
আমার বিয়ে হয়েছে,সে আমার চেয়ে
গুণে
গুণে
৭ বছরের বড়।খুব বড়লোক
বোধহয়,বাসার
অবস্থা দেখে তো তাই মনে হচ্ছে।
আমাকে ওরা
প্রচণ্ড
ভাবে সাজিয়েছে।পুরো শরীর জুড়ে
আমার
ভারি ভারি অলংকার।
তুমি ঠিক এই মুহূর্তে কোথায় আছো?
নিশ্চয় তোমাদের বাসার ওদিকে ঐ
মোড়ের
যাত্রী
ছাউনিতে বসে আছো?আচ্ছা,আমি
শুনেছি
ছেলেরা কষ্ট পেলে নাকি সিগারেট
খায়।তুমি তো সিগারেট খাও না।
তাহলে?তুমি তো
আনন্দ হলেও আমার সাথে কথা বলতে,
কষ্ট পেলেও দুখী দুখী গলায় আমার
সাথে
কথা
বলতে...ও আচ্ছা,জিজ্ঞেস তো করা
হয়নি....তুমি কি খুব কষ্ট পেয়েছো?
মনে আছে,আমরা কতদিন ধরে এই
রাতটার
স্বপ্ন
দেখেছিলাম?
কত পরিকল্পনা ছিল আমাদের,শুধু
এই রাতটা নিয়ে...মনে আছে?আমি
কিন্তু বারবার বলতাম,বেশি স্বপ্ন
দেখো
না,দেখবে
পূরণ হবে না!
তুমি তখন কি করতে মনে আছে?
আমার ভালোবাসা নিয়ে প্রশ্ন
তুলতে....বলতে,"তুমি নিশ্চয় আমাকে
ভালোবাসো না।বাসলে কখনো
স্বপ্নভঙ্গের
কথা বলতে না।"
সব ঠিকঠাক ভাবে আছে।ওরা কিন্তু
আমাকে
একদম তোমার মনের মত করে
সাজিয়েছে।
তুমি
চেয়েছিলে,এইদিন আমার মত সুন্দর আর
কাউকে
লাগবে না।
সত্যিই আমাকে অনেক বেশি সুন্দর
লাগছে।তুমি চেয়েছিলে,আমার মুখ
দেখেই
আজকের রাতটা কাটিয়ে দিতে।
আমিও
চেয়েছিলাম।তবে চাইলেই সব হয় না।
আমি
বালিশের নীচেই কুৎসিত একটা
জিনিশের
প্যাকেট পেয়েছি।
আজকের রাতটা তাই অশ্লীলতা মুক্ত
হবে না,হবে না
আমাদের
স্বপ্নের মত।
তুমি কিন্তু একদম ভেঙে পড়বে না।সব
ঠিক
হয়ে যাবে।তুমি খুব ফুটফুটে একটা
মেয়েকে
বিয়ে
করবে কিন্তু!আর বিয়ের দিন একদমই
আমার
কথা
ভাববে না। খবরদার বলছি.....তাকে
নিয়ে তুমি
জোছনা দেখবে।প্রতি পূর্ণিমায়
তাড়াতাড়ি
অফিস থেকে বাসায় আসবে।গাড়িটা
নিয়ে
বেরিয়ে হবে সন্ধ্যার শুরুতেই।অনেক
দূরে হাইওয়ে ধরে ছুটতে ছুটতে তোমরা
দুজন
জোছনা
দেখবে....অবশ্যই দেখবে...কেমন?
আচ্ছা,সকালে তাড়াতাড়ি উঠো ঘুম
থেকে।
এলার্ম ঘড়ির দায়িত্ব তো আমি
অনেকদিন
পালন করলাম।আর কত বল?
আর সবসময় চুল
আঁচড়াবে।আমি হাত দিয়ে ঠিক করে
দিবো,এই
আশায় আবার বসে থেকো না