আমার কাছে ঠাকুরের পাওনা চিনি দিলামই না

ভগবান আমার কাছে এই যাবৎ পর্যন্ত অনেক চিনি আর বাতাসার টাকা পায়।

ছোট্ট বেলা থেকে যখনি বিপদে পরেছি তখনি দুই টাকা, পাচ টাকার চিনি বাতাসার মানত করতাম।

কিন্তু বিপদ থেকে উদ্ধার হওয়ার পরে আর দিতাম না ।

যেমনঃ পরীক্ষার রেজাল্টের সময় বলতাম ঠাকুর এবার পাশ করিয়ে দিলে তোমায় দুই টাকার চিনি খাওয়াবো আর এভাবে কত শত রেজাল্ট পেলাম কিন্তু ঠাকুরের সেই চিনির পরিমাণ বেড়েই চলেছে।

আবার ছোট্টবেলায় কিছুদিন দুই টাকা, পাচ টাকা ঠাকুরঘরে রেখেও ছিলাম ঠাকুরকে দেবো বলে। কিন্তু সেখান থেকে নিজেই চুপি চুপি নিয়ে এসে আইস্ক্রীম খেয়ে নিয়েছি।

আর এইতো কিছু বছর পূর্বে কলেজ রেজাল্ট পাওয়ার সময় আবার সেই ঠাকুরের চিনির কথা স্মরণ করেছিলাম কিন্ত তখন তফাৎ ছিলো দুই টাকার চিনির জায়গায় একটু বেশি টাকার চিনি থেকে বাতাসা।

আসলে আমি মাঝে মাঝে নিজের মনের সাথে একা একা কথা বলি আর উওর মন বলে দেয়।

তাই একদিন হঠাৎ মনের কাছে জিজ্ঞেস করলাম, হ্যারে মন একটু বলে দে তো আমায়...

ঠাকুর আমার কাছে তো অনেক চিনি, বাতাসা পাবে। এগুলো তো দেয়া লাগে তাই না কিন্তু কিভাবে কি দেয়া যায়?

মন হুট করে উওর দিলো,, আরে বোকা তুই কি এখন চাকরি করো?

এতো চিনি কিনবি কি দিয়ে? হিসেব করেছিস কখনও কত পরিমাণ চিনি জমা হয়েছে?

হ্যা ঠিকি তো এতো টাকা কই পাবো, উত্তর আমি পেয়ে গেলাম।

ঠাকুরকে আমি আবার স্মরণ করলাম আর বললাম, ঠাকুর তুমি একসাথে এতো পরিমানে চিনি খেতে শুরু করলে পেটে সমস্যা হতে পারে। তাই সেই চিন্তা মাথায় রেখে তোমার চিনি অল্প অল্প করে দিয়ে দেবো।

এইগুলোও নিয়ে এইমাত্র ভাবছিলাম তাই শেয়ার করে দিলাম।

বিঃদ্রঃ ছোট্ট বেলার মন কতই না চঞ্চল হয়ে থাকে সেটা এখন কল্পনায় হারালেই বোঝা যায়।