বসন্তের হৈমন্তী

হৈমন্তী আমার পাশে শুয়ে আছে।

তার হাত,পা,মাথা থেকে অঝর রক্ত বের হচ্ছে। 

আমি কোন রকম আমার মাথায় একটা কাপড় বেধে রক্ত পরাটা বন্ধ করি।

আমি হামাগুড়ি দিয়ে হৈমন্তীর পাশে যেতে লাগলাম।

হৈমন্তী কে ডাকতে শুরু করলাম।

কিন্তু হৈমন্তী আমার ডাকে সারা দিচ্ছে না।

আমি হৈমন্তী কে আমাকে বুকে নিয়ে জোরে জোরে চিৎকার দিয়ে বলতে লাগলাম হৈমন্তী তোমার কিছু হবে না আমি তো আছি।

তোমাকে আমি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো।

তুমি সুস্থ হয়ে যাবে।

কিন্তু হৈমন্তী আমার ডাকে সারা দেয় না।

এতোক্ষুনে হৈমন্তী মনে হয় পরপারে চলে গেছে।

১ বছর পিছনে যাওয়া যাক.....

হৈমন্তীর সঙ্গে আমার প্রথমে দেখা হয় একটা চটপটির দোকানে।

আমি চটপটি খেতে অনেক ভালোবাসি।

তাই সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন আমার চটপটি খাওয়া লাগবেই।

প্রতিদিনের মতো,আজকেও চটপটি খেতে এখানকার বরিশালের বিখ্যাত চটপটির দোকান,দুলাল ভাইয়ের এখানে আসি।

এখানে আসলে চটপটি পেতে একটু সময় লাগে।

কারন প্রচুর মানুষ এখানে আসে চটপটি খেতে।

একটি ছেলে এসে আমাকে চটপটি দিয়ে যায়।

আমি চটপটি খাইতে ছিলাম।

হঠাৎ পাশ থেকে একজন এসে ধাক্কা দিলে আমার চটপটি সব আমার গায়ে ফেলে  দেয়।

মুহুর্তে মেজাজ গরম হয়ে গেল।

পাশে তাকিয়ে দেখি একটা মেয়ে।

মেয়েটিকে দেখে আমি হতভম্ব হয়ে গেছি।

একটা মেয়ে এতো সুন্দর হয় কিভাবে?

আচ্ছা সৃষ্টিকর্তা তাকে কি মাটি দিয়ে বানিয়েছে,খুব জানতে ইচ্ছে করে?

মেয়েটির গায়ের রং ছিলো কৃষ্ণবরন।

চোখ দুটো ছিল স্বয়ং লক্ষির মতো।

আমি মেয়েটিকে দেখে অন্য জগতে চলে গেছি মনে হয়।

ওই দিকে মেয়েটি আমাকে কি যেন বলতেছে আমি কিছুই বুজতেছি না।

হঠাৎ মেয়েটি বলতেছে এ যে ভাইয়া আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন না,আমার কথা?

জী জী বলুন,কি যেন বলতেছেন?

আসলে ভাইয়া সরি আমি দেখতে পাইনি। 

ভুলে ধাক্কা লেগে আপনার গায়ে চটপটি পরে গেছে,কিছু মনে করবেন না পিলিজ।

আমি-আরে নাহ কি মনে করবো।

আপনার গায়ে ফালানোর অধিকার আছে।

আপনি যতোখুশি আমার গায়ে চটপটি ফালাবেন।

মেয়েটি বলে উঠলো,কিহ...কি বললেন?

আমি- কিছু নাহ,সমস্যা নেই এইরকম একটূ আকটূ হয়েই থাকে।

মেয়েটি মনে হয় চটপটি খেতে এসেছে।

দোকানদার মামার থেকে চটপটি নিয়ে চেয়ারে বসে মেয়েটি চটপটি খেতে লাগলো।

আমি লুকিয়ে লুকিয়ে আরচোখে মেয়েটি দিকে তাকাচ্ছি।

মেয়েটিও কেন জানি না আমার দিকে তাকাতে লাগলো।

মনে মনে ভাবলাম মেয়েটি কি আমার সাথে লাইন মারতে চায় নাকি।

অতো সহজ না আমি সহজে পটি না।

মেয়েদের কাজ থেকে দূরে থাকি।

কিছুক্ষুন পর মাথায় আসলো,ধুরর কি আবাল তাবল ভাবতেছি।

এতো সুন্দর মেয়ে আমার মতো ভ্যাবলাকান্ত ছেলেকে পটাবে নাকি।

তাকাতাকি করতে করতে অনেক সময় হয়ে গেল।

মনে মনে বলতে লাগলাম না মেয়েটির সাথে আমার কথা বলতেই হবে।

আমি প্রস্তুতি নিলাম,আমি মেয়েটির কাছে গিয়ে বলতে লাগলাম....... 

চলবে.....

লেখাঃ রতন।

꧁ 𝐸𝓀 𝐵𝑒𝓁𝒶𝓇 𝐿𝒾𝓅𝒾𝓀𝒶 ꧂