বসন্তের হৈমন্তী। পর্বঃ ৩

মেসেজে লেখা ছিলো,হ্যালো ভাইয়া কেমন আছেন?

আউডিটার নাম ছিলো বসন্তের হৈমন্তী। 

আমি অবাক হইয়া যাই,এই বসন্তের হৈমন্তী আবার কেডা।

আমিও মেসেজ দিলাম,জী ভালো আছি,কিন্তু আপনাকে তো চিনলাম না?

আমি ওই মেয়েটা,যেখানে আপনার সাথে চটপটি খেতে গিয়ে দেখা হইছে।

আমিঃ ও আচ্ছা,আমি তো মনে মনে মহা খুশি,মনে মনে লাড্ডু ফুটলো মনে হয়।

সবকিছু যেন এমনি এমনি হয়ে যাচ্ছে।

অপরপ্রান্তে থেকে আবার টুইং করে একটা মেসেজ আসলো।

মেসেজে লেখা,ছিলো আচ্ছা আপনার নামটাই তো জানা হলো না।

আমিঃ আমার নাম অয়ন।

বসন্তের হৈমন্তীঃ আপমার নামটা তো অনেক সুন্দর। 

আচ্ছা আপনার সাথে পরে কথা বলবো।

এটা বলে হৈমন্তী চলে যায়।

আমিও তারাতারি খেয়ে ঘুমিয়ে পরি।

পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি হৈমন্তী অনলাইনে আছে।

আমি মেসেজ দিয়ে বললাম,আচ্ছা আমরা কি আজকে বিকালে দেখা করতে পারি।

হৈমন্তী অনেক সময় পর মেসেজ দিয়ে বললো না পারবো না।

আজকে আমার বাসায় অনেক কাজ আছে।

আমার মন খারাপ হইয়া গেল।

ভাবলাম আমার অসুন্দর ভ্যাবলাকান্ত ছেলের সাথে তার দেখা করার কি দরকার আছে।

হুদাই তারে নিয়া ভাবতেছি। 

অনলাইন থেকে চলে গেলাম।

দুপুরে খাওয়া শেষে বিছানায় শুয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে যেই ডাটা অন করলাম,সাথে সাথে হৈমন্তী মেসেজ। 

মেসেজে লেখা ছিলো,আমি বিকালে দেখা করবো,কোথা আসতে হবে বলেন?

মনে মনে একটা ভালোলাগা কাজ করছে।

আমিও দেরি না করে তাকে লোকেশন বললাম।

আমি একটা বটগাছের নিচে তার জন্য অপেক্ষা করতেছি।

কিন্তু হৈমন্তী আসতাছে না।

দীর্ঘ সময় পর হৈমন্তী আসলো।

আমি একটু মেজাজ নিয়ে বললাম এই আপনার আসার সময় হলো।

হৈমন্তীঃ না আসলে আমার বাসায় একটূ কাজ ছিলো,সেটা শেষ করতে একটু সময় লেগে যায়।

কিছু মনে করবেন না পিলিজ।

আমিঃ আরে না কি মনে করবো।

আচ্ছা চলেন,এখানে বাবলু ভাইয়ের বিখ্যাত চা আছে,আপনাকে আজকে খাওয়াবোনি।

হৈমন্তীঃ আচ্ছা চলেন।

আমিঃ আমরা হাটতেছি আর কথা বলতেছি।

আচ্ছা আমরা তো তুমি করে বলতে পারি তাই না।

হৈমন্তীঃ হুম পারি।

তারপরও আপনি আমার অনেক বড় কিভাবে বললো।

আমিঃ তাতে কি এমন হইছে।

আমরা তো বন্ধুই তাই না।

হৈমন্তীঃ হা তা ঠিক।

আচ্ছা তুমি করেই বলবোনি।

আমিঃ আমরা বাবলু ভাইয়ের দোকানে গেলাম।

দুজনে পাশাপাশি বসে চা খাচ্ছি।

আচ্ছা তাকে কি আমার ভালোবাসার কথা বলে দিবো।

নাকি বলবো না।

সে কি রাজি হবে, নাকি হবে না।

যদি সে কিছু মনে করে,তাইলে তো একুল ও যাবে ওকুল ও যাবে।

না থাক বলবো না।

সন্ধ্যা নেমে এলো আমি হৈমন্তীকে বিদায় দিয়ে বাসায় চলে আসলাম।

এভাবে তার সাথে কথা বলতে বলতে ১১ মাস ১৯ দিন  হয়ে গেলো।

কিন্তু কেউ কাউকে ভালোবাসার কথা বলিনি।

কিন্তু হৈমন্তী আমাকে যে পছন্দ করে না,তা বলবো না।

হঠাৎ একদিন রাত ১১ টা বেজে ৪৭ মিনিটে আমার মেসেঞ্জারে একটি মেসেজ আসে।

মেসেজটি ছিলো হৈমন্তীর।

হৈমন্তীর মেসেজটি দেখে আমি রিতি মতো অবাক হইয়া যাই।

হৈমন্তী আমাকে মেসেজ দিয়ে বললো....

লেখাঃ রতন। 

চলবে.....

꧁ 𝐸𝓀 𝐵𝑒𝓁𝒶𝓇 𝐿𝒾𝓅𝒾𝓀𝒶 ꧂