ভুল সবি ভুল

ধুলো ছিলো চেহারায়,

কিন্তু আমি সারাজীবন

আয়না মুঝেই এলাম 🥺🥺🥺

তুমি অব্যয় আর আমি প্রতিক্রিয়া

প্রিয়,

তুমি নির্ভীক হলে আমি চৈতান্য,

তুমি উৎকন্ঠী হলে আমি দেবদারু।

তুমি বৃষ্টি হলে আমি অনল,

তুমি রাগিনী হলে আমি তেজ।

ভাগ্য

ভাগ্য নির্মাতাকে বলে দিও, 

আমি ভাগ্যের কাছে বিশ্বাস হারিয়েছি।

প্রথম প্রেম

মন প্রথমবার যার প্রেমে পড়ে তাকে ঘৃণা করলেও ভুলে যেতে পারে না। পরিষ্কার জল কাগজে পড়লে দেখবেন শুকিয়ে যাওয়ার পরেও দাগ রেখে যায়।

Mridul Chandra

পরিচিতা আমি হেরেছি

আমি যে আর পারিনা,
আমায় যে অশ্রু জুড়িয়ে ধরে দুচোখ,
পারিনি মুছে দিতে তোমার সেই হাসি,
আমার মন থেকে।।

আমি যে আর পারিনা,
পারিনা তোমায় ছেড়ে একা থাকতে,
কষ্টের শিকল পুড়িয়ে,
উড়াল দিলে অন্য আকাশে।।

আমি যে আর পারিনা,
পারিনা ভাবতে নীলাম্বরী তুমি অন্য কারো হবে।।

অনুভূতি

তুমি কি জানো অনুভূতিহীন
জীবন কতোটা ভয়ংকর কষ্টের,
তুমি কি বোঝো ?
নির্লিপ্ত চোখের আর্তনাদ।
কতোটা গভীর বেদনাদায়ক
তুমি কি টের পাও?
একাকীত্বের শীতলস্পর্শ
কতোটা ভয়াবহ যন্ত্রণার।

আমাদের সবার শেষ সীমা কোথায়?

দুঃখ আর কস্টের মাঝে যেমন বাক্যটা আলাদা কিন্তু অনুভবটা একই, ঠিক একইভাবে স এবং শ এর মধ্যে ব্যবধান এমনি।

এই যেমন,, শ তে শুরু, স তে সূর্য, শ তে শোক, স তে সুুখ,

শ তে শেষ, স তে সমাপ্তি। 😥🍂

[[আরেকবার গভীর ভাবে চিন্তা করুন]]

ছেড়ে দেবো সবাইকে একদিন সব

এক্স বলেছিলো আমায় ছেড়ে দে, বন্ধু বলছে তাকে ছেড়ে দে,

আজ সময় বলছে আমায় ছেড়ে দে,

কোনো একদিন নিয়তি বলে দিবে এই পৃথিবী ছেড়ে দে। 🍂🍂🥺

ধর্ম পরিবর্তন

নিজ ধর্ম পরিবর্তন করা মানে, হিরোইন ছেড়ে ফেনসিডিল ধরা।

যার ফলাফল হয় এমন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া একই কিন্তু স্বাদ ভিন্ন।

স্বয়ং বিবেচনা করুন.....

Click here....

ছেলেদের কে বোঝার চেষ্টা না করে, ছেলেকে বুঝুন।

কিছু কিছু মেয়ের স্ট্যাটাস  দেখলাম😒

" ছেলেদের কে বোঝা বড্ড কঠিন"

- আগে 'ছেলেদের' শব্দটা থেকে কেটে বেরিয়ে এসে শুধু "ছেলে' -তে নেমে এসো। একটি ছেলেকেই বোঝার চেষ্টা করো, অনেক ছেলেকে একসাথে বোঝার চেষ্টা করো বলেই বুঝতে কঠিন লাগে🙂

ইন্ট্রো পোস্টে এতো ছেলে ভালো ভালো কমেন্ট করছে, কমেন্ট এর রিপ্লাই তো দূরে থাক লাইক👍পর্যন্ত দিচ্ছে না😏😏

বলছি লাইক👍 দিলেই কি প্রেম হয়ে যাবে😒

নাকি কমেন্ট এর রিপ্লাই দিলেই বিয়ে হয়ে যাবে ?😏

শিবরাত্রিতে শিবের মাথায় জল ঢেলে শিবের মতো বর চাইছো😒😒

পাবে কিকরে মেসেজ সীন করে তো রিপ্লাই দাও না😠

জানো😒 বিষ খেয়ে মরে দিতে ইচ্ছে করে😔 যখন দেখি পাশের বাড়ির কাকুরও গার্লফ্রেন্ড রয়েছে😒😒

টিভিতে নিউজে দেখছি মেয়েরা এখন নাকি আর পিছিয়ে নেই😒😒

যদি পিছিয়ে নেই তো এগিয়ে এসে আমাদের প্রপোজ করো দেখি😘

আর কতদিন ছেলেদের ভরসায় থাকবে ? হ্যাঁ ?😎😎😂😂😂

Mridul Chandra 

Click here..... 

জগাদার এক্সিডেন্ট

সারা গায়ে ধুলো, প্যান্ট হাঁটুর কাছে ছেড়া, ছড়েকুটে যাওয়া কনুই আর বাম চোখ ফোলা অবস্থায় জগাদাকে লেংচে লেংচে বাড়ীতে ঢুকতে দেখে শশব্যস্ত হয়ে দৌড়ে এলেন বউদি...

-- কি হইসে?

-- আর কউ ক্যান, এক মইলা স্কুটি দিয়া ধাক্কা দিসে।

-- সেকি!! কে সেই মইলা?

-- চিনি না।

-- স্কুটির নম্বর দেখছো?

-- নাহ, দেহার আগেই পলাইসে।

-- স্কুটির রং?

-- খেয়াল করি নাই। তবে মইলার গায়ের রং খুব ফর্সা। ডীপ বুলু কালারের টাইট চুড়িদার আর সাদা লেগিংস পইরা ছিলো। বারডেন্ডী রং এর চুল, ঠোঁটে লাল লিপিস্টিক, কানে ডোকরার কাজ করা ঝোলা কানের দুল আর থুতনির কাছে তিল ছিলো।

এখন জগাদার ডান চোখটাও ফুলে রয়েছে।

ক্রাশ পটানো সংক্রান্ত কথা কেন খুলে বলতেছেন? ক্রাশ জেনে যাবে সত্ত্বেও?

— এইটা হইতেছে একটা মাইন্ড গেইম। নিজের পরিকল্পনা জানাইয়া দিয়ে তাহারে সর্তক করলাম। এমনিতে লুকিয়ে লুকিয়ে খেলা ভালো মানায় না। পরিকল্পনা তাই জানায়ে দিই। কিন্তু পরিকল্পনা আমার অন্য। আমার ক্রাশ আমার উপর ক্রাশ না খাওয়ার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করবেন। সতর্ক হতে গিয়ে তিনি আমারে পাত্তা দেবেন। এই করতে গিয়ে তিনি একটা ভুল করবেন। আমি সেই ফাঁকে সেইটা কাজে লাগাবো। কি বুঝলেন?

(আর কিছু বলা যাবে না। ক্রাশ যদি জেনে যায়? 😮 )

ক্রাশের ছবি দেখে কি কি করা হয়

- প্রথমে নাম চোখে পড়লে বুক আঁতকে উঠে। কি করবো বুঝে পাই না। দেখবো? না দেখবো না?

উঠে জল খাই। ঠাণ্ডা হই। এরপর ঠিকঠাক বইসা আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে ছবির দিকে তাকাই; একটু একটু করে। আস্তে আস্তে দেখি। মনে কবিতা, গান ওড়ে। এরপর লাভ রিয়েক্ট দেই। একটা লাভ রিয়েক্টে মন ভরে না দেখে ফেইক আইডি থেকে আরেকটা দেই। এরপর চোখে পড়ে আরও মানুষ লাভ দিয়েছে। মেজাজ গরম হয়ে যায়। পচ্চুর পচ্চুর মারামারি করতে ইচ্ছে হয়। বাইরে চা খাইতে যাই। চা খেয়ে এসে আবার একটু দেখি। এরপর বিরহের গান শুনি। এরপর, গাদার গাদা স্ট্যাটাস, গান, কবিতা দিতে ইচ্ছে করে। এরপর ফেইক আইডিতে দেই। এরপর মেইন আইডিতে ফিরি। আর নিতে পারি না, আজকের মত এখানেই শেষ।

Office Time 😁

Mridul Chandra

প্রেমময়ী রাধা

যেদিন প্রথম জেনেছিলাম তুমি আমাকে ভালবাসো
আমি নির্বাক হয়ে তোমার মুখের দিকে তাকিয়েছিলাম
তুমি জানোনা কি প্রচন্ড কান্না পাচ্ছিলো আমার
ইচ্ছা করছিলো দৌড়ে এতোটা দূরে চলে যাই
যেখান থেকে আমার কান্নার শব্দ তুমি শুনবে না
যদিও সে কান্না ছিলো আমার সুখের
এমন কান্না আমি সারাজীবন কাদতে চাই
তবুও আমি বুঝে গিয়েছিলাম

 আমার
কান্না তুমি দেখতে পারবেনা ......

Admin Link

যেভাবে বুঝবেন মেয়েটি আপনার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে

তুমি যেভাবে বুঝবে একটা মেয়ে তোমায় পছন্দ করে, কিন্তু মুখ ফুটে বলেনা।

{{ কথায় আছে, মেয়েদের বুক ফাটে তো মুখ ফোটেনা }}

শুধু ছেলেরাই যে মেয়েদের দিকে ড্যাবডেবিয়ে তাকিয়ে থাকে এমনটা নয়। মেয়েরাও রীতিমতো মেয়েদের এবং ছেলেদের দেখে।

মনে রাখা ভালো সব কিছুরই একটা পজিটিভ এবং নেগেটিভ দিক রয়েছে।

* এমনটাই নয় যে একটা ছেলেকেই প্রথম প্রেমের প্রস্তাব দিতে হবে।

* একটা মেয়েও কিন্তু দিতে পারে।

* এবার ধরা যাক, কোনও মেয়ের আপনাকে বেশ পছন্দ হয়েছে।

* তার জন্য কিন্তু বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে।

এবং আমি সেই সম্পর্কেই এখন আলোচনা করতে চলেছি।🙂

শুধু ছেলেরাই যে মেয়েদের দিকে ড্যাবডেবিয়ে তাকিয়ে থাকে এমনটা নয়। মেয়েরাও রীতিমতো মেয়েদের এবং ছেলেদের দেখে। এমনটাই নয় যে একটা ছেলেকেই প্রথম প্রেমের প্রস্তাব দিতে হবে, একটা মেয়েও কিন্তু দিতে পারে। এবার ধরা যাক, কোনও মেয়ের আপনাকে বেশ পছন্দ হয়েছে। তার জন্য কিন্তু বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে। একটু খেয়াল করলেই আপনি তা নজরে আনতে পারবেন।

আপনার সামান্য মজার কথায় তার খুবই হাসি

কোনও মজার কথা বলেছেন আপনি। সবাই হাসছে। কিন্তু সে একটু যেন বেশিই হাসছে। সেইসঙ্গে আপনাকেও বেশ মনোযোগী দৃষ্টিতে দেখছে। মনোবিজ্ঞানের ভাষায়, ছেলেরা মেয়েদের হাসি পছন্দ করে। কোনও মেয়ে তাকে দেখে হাসলে মনে মনে খুশিই হয়। ফলে মেয়েদের হাসি আরও চওড়া হয়।

কারনে অকারনে ছোঁয়া

একটু বেশিই আপনাকে ছুঁতে চাইছেন তিনি। কারণে অকারণে গায়ে হাত লেগে যাচ্ছে। মিষ্টি হেসে আপনাকে সরিও বলছে। কিন্তু তিনি চেষ্টা করছেন আপনার বাহুর স্পর্শ পেতে। কিংবা টেবিলের তলা দিয়ে আলতো করে পায়ে খোঁচা। তারপর আবার সেই সরি।

কাছে ঘেষার হাজারো অজুহাত

শুধুমাত্র আপনার একটু কাছে আসতেই তিনি নানা অজুহাত দেখান। পরিকল্পনা করেই আপনাকে কিছু কথা বলেন। যখনই কোনও মেয়ে লাজুক ভঙ্গিতে কিছু কথা বলার উদ্দেশ্য নিয়ে আপনার কাছে আসবে তাহলে ধরেই নেবেন যে মেয়ে আপনার প্রেমে পাগল। একটিবারের জন্য হলেও আপনার সঙ্গে একান্তে কথা বলতে চায়।

অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকা

আপনার দিকে ক্ষণে ক্ষণেই তাকিয়ে থাকছে। পাশ থেকে কেউ কিছু বললেও খুব একটা গায়ে মাখছে না। সেই চাহনির মধ্যে একটা ভালোবাসা আছে। আসলে প্রেমের ক্ষেত্রে চোখ কিন্তু অনেক কথা বলে।

চুল নিয়ে খেলছেন

মেয়েরা নিজেদের চুল নিয়ে বড়ই অবসেসড। অন্য সব সাজ পোশাক হয়ে গেলেও চুল নিয়ে ঠিক কী করবেন তাই নিয়ে ভাবনার অন্ত থাকে না। কথায় কথায় তাঁরা নিজের অজান্তেই চুলে হাত বোলান। চুল নিয়ে খেলেন, চুল ঠিক করেন। তবে তিনি যে প্রেমে পড়েছেন তা সরাসরি বলেন না। তাঁর চোখ, ঠোঁট এবং শরীর সেই ভালোবাসার প্রকাশ করে।

এডমিনের ব্যক্তিগত ফেইসবুক পেইজ লিংক....

Personal Website Link / Click here....

সেই মেয়েটি যদি না ডাকতো আমি যেতাম না, একেবারেই ফাসিয়ে দিলো.....

আমি একজন অল্পবয়সী যুবক । ফেসবুকে আমার অনেক অনেক ফ্রেন্ড। তার মধ্যে অনেক মেয়ে ফ্রেন্ডও আছে। চ্যাট ট্যাট করে, নানারকম গল্পসল্প করে ভালই দিন কাটে। এরকম একজন হল প্রিয়া। বয়স ত্রিশ এর কাছাকাছি , বিবাহিতা। অসাধারণ সুন্দরী। কি সুন্দর করে কথা বলে ইনবক্সে! কথা বলতে বলতে খেয়ালই থাকে না সময় কোনদিক দিয়ে চলে যায়। একদিন সে কল করে বলে, " আমার স্বামী ব্যবসার কাজে ঢাকায় গেছে, বাড়িতে কেউ নেই। তুমি এসো"। তোমার স্বামী যদি ফিরে আসে এর মধ্যে?😑

" আরে আসবে না। আর আসলে তুমি একটা ন্যাকড়া নিয়ে দরজা জানালা মুছতে থাকবে। আমি ওকে বলব তুমি ক্লিনিং কোম্পানী থেকে এসেছো, ঘর পরিস্কার করতে। এমনিতেও পূজো সামনে।" আচ্ছা ঠিক অাছে, আসছি। কি অদ্ভুত! আমি যাওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে ওর স্বামী এসে হাজির। কি আর করা! জানালার গ্লাস মুছতে শুরু করলাম। গ্রীল পরিস্কার করলাম। সবগুলো জানালা দরজা পরিস্কার করলাম। রান্নাঘরের কোনাকানি পরিস্কার করলাম। বাথরুম পরিস্কার করলাম।

ফ্যান মুছলাম, ফার্নিচার মুছলাম। ৪-৫ ঘন্টার মধ্যে তাদের পুরো বাড়ি পরিস্কার ঝকঝকে করে দিলাম। সে আর তার স্বামী মিলে সারাক্ষণ এটা সেটা ইন্সট্রাকশন দিয়ে গেলো। পরিস্কার করা শেষ হলে তার স্বামী জিজ্ঞাসা করল, "আপনার বিল কত হয়েছে?" সে আগ বাড়িয়ে উত্তর দিল, " জানু আমি তো আগেই অনলাইনে পেমেন্ট করে দিয়েছি। তারপর ওরা লোক পাঠিয়েছে।" "ও আচ্ছা" বলে ওর স্বামী আমাকে ১০০ টাকা বখশিশ্ দিয়ে দিল। আমি বাড়ি চলে এলাম। কাজের লোক পাওয়া যে কঠিন আজকাল!

তাই তো বলি পোলাপান, ফেসবুকের সুন্দরী সুন্দরী মেয়ে দেখে পটে যাস না । দুনিয়াটা ভরে গেছে ধোকাবাজে।

বিঃদ্রঃ গল্পটা বিনোদনের জন্য সাজানো হয়েছে।

ধন্যবাদ

এখানে ক্লিক করে ফেইসবুকে যুক্ত হন.....

এখানে ক্লিক করে এডমিনের ব্যক্তিগত ব্লগে যুক্ত হন.....

যারা প্রেমে সফলতা পায়,

প্রেমের জটিলতা কোথায় বাধে ?

কারা বেশি পটু প্রেমে আপনি জানেন কি? 

প্রেম রোমান্টিক হয় বেকার প্রেমিকদের, এবং প্রেম মজবুত হয় কর্মঠ প্রেমিকদের।

কারন বেকার প্রেমিকরা সব সময় তার প্রেমীকে আগলে রাখার চেষ্টা করে আর কথা দেয় কখনো আলাদা হবে না হেনো তেনো।

কিন্ত তারা ভবিষ্যতের কথা ভাবে না, কেনো তাদের পরিবার মেনে নিবে। তবে হ্যা বেকারদের ভালোবাসা সত্যিই খুব সুন্দর হয়ে থাকে। এই যেমন ধরুন তারা সারাদিন দুজন দুজনকে সময় দিতে পারে এবং দুজনকে বুঝতে অনেক সময় পায় তারা।

কিন্ত সে দিক থেকে চাকরিজীবী প্রেমিকরা পিছিয়ে, যেমন ধরুন একটা মেয়ের প্রধান চাহিদা থাকে তাকে যেনো সময় দেয়া হয় বেশি। কিন্তু ছেলেটি রুটিন করে সময় দেয়, টিফিন টাইমে ৩০ মিনিট, ঘম থেকে জেগে ৩০ মিনিট,  অফিস থেকে ফিরে ২০ মিনিট, আর রাতের কথা তো বাদ দিলাম কারন রাতে ছেলেটা থাকে ক্লান্ত কারন সারাদিন কাজ করে রাতে যে কতটুকু সময় সে দিতে পারবে সেটা সে নিজেও বলতে পারেনা, আমি কি বলবো ছাই 😐

  

কিন্তু এই টুকু সময়ে বেশিরভাগ শ্রেনীর মেয়ে অসন্তুষ্ট,  তাই তারা অনেক অভিমান করে তার ভালোবাসার মানুষের উপর।  আবার কখনোও কখনো আরেকটা রিলেশনশিপে জড়িয়ে যায়। এই ব্যপারটি সব রিলেশনে হয় সেটা আমি বলছি না তবে আমার দেখা বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে এই টুকু বলতে পেরেছি।

* মেয়েদের ভালোবাসতে গেলে আপনার প্রধান লক্ষ্য থাকতে হবে তাকে একটু বেশি সময় দেয়া, আরেকটু বেশি কেয়ার নেয়া তাতেই তারা পূজোর খুশি। 

* অনেকে বলে থাকে মেয়েরা শুধু খাই খাই করে,  আসলে সব মেয়েরাই খাবারে পটু কিন্তু সেটা আপনার পকেটের উপর নির্ভর করে থাকে। সব মেয়ে সমান নয় এটা মাথায় রাখা অন্তত জরুরি, আপনাকে যে ভালোবাসবে সে আপনার পকেটের দিকেও খেয়াল রাখবে আর যদি দেখেন সে আপনাকে নানা কারনে অকারনে হেনস্তা করছে তাহলে তার থেকে কেটে পরাই আপনার কাছে উত্তম। 

* এবার আসি বেকার প্রেমিকদের নিয়ে,  আসলে বেকার প্রেমিকরা অনেক রোমান্টিক হয় সেটা কিন্ত আগেই বলেছি, তবে যাদের ভালোবাসা সত্যি হয়ে থাকে তারা দুজন দুজনকেই দেখবে কার কাছে কত দম আছে। তাই তারা দু'জনে ভাগ করে নেয় খাবারের শিডিউল।  তবে এটা সকল বেকার প্রেমিকের সাথে হয় না। 

* আবার অনেক প্রেমিকার বান্ধবী আছে তার বলে এমনটা এই তোর বফ তো ভালো টাকা কামায়,  তুই একটু খরচ করলে কি কমে যাবে নাকি ওর।  আর এই ভাবনা ভেবেই একটা চাকরিওয়ালা প্রেমিককে হেনস্তা করা হয়, তবে সেখানে প্রেমিক ভাবে একদিন তো তাকে পাবোই কেনো খরচ করবো না ওর জন্যই তো এতো কিছু করছি।  আহা উদার প্রেম।

* তবে সব কিছু প্রেমিকার ভুল থাকে না,  প্রেমিকদেরও সমস্যা আছে।  এই যেমন ধরুন তার হাতে একটা আছে, কিন্তু মনে মনে আরও প্রেমিকার আসা করে। 

* চাকুরীজিবী প্রেমিকরা ইচ্ছে করলে প্রেমে সফলতা পেতে পারে যেকোনো উপায়ে, যদি তারা প্রেমিকার বাড়িতে প্রস্তাব পাঠায় তবে বিশেষ বিবেচনায় তারা বেশিরভাগ সময় রাজি হয়ে যায়।  আবার যদি রাজি না হয়  তাহলে পালিয়ে বিয়ে করলেও তারা সুখি থাকতে পারে কারন তাদের চলার মতো রোজগার রয়েছে।

* আর বেকারদের প্রেম যতই রোমান্টিক হোক না কেনো, তারা না পারে বিয়ে প্রস্তাব দিতে আর না পারে  পালিয়ে যেতে।  কারন পালিয়ে বিয়ে করা যায় কিন্তু সংসারের রোজগার কে জোগাবে।

              

আজ এই পর্যন্তই, 

বিঃদ্রঃ [[ আমার লেখাগুলো শুধু বাস্তবতার ভিত্তিতে যদি  ভুলত্রটি হয় ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন,  আরেকটা কথা '' যদি রোমান্টিকতার প্রেম চান তাহলে বেকার থাকতেই প্রেম করুন, আর যদি প্রেম করে বিয়ে চান তাহলে বেকার থেকে প্রেমের গন্ডিতে পা না বাড়ানোই উত্তম। তবে অনেক বেকার থেকে প্রেম করে চাকরি পেয়ে সেটা হলো আলাদা বিষয় । ]]

ধন্যবাদ      

      Mridul Chandra 

ভালোবাসার অন্তরালে বুঝতে না পারা বেঈমান মানুষগুলো, যাদের কাছে শুধু স্বার্থটুকুই প্রাধান্য পেয়ে থাকে।

এখনও মাঝে মাঝে তোমার কথা অনেক বেশী ভাবিয়ে তুলে
আমাকে ।

সত্যিই কি, এই পৃথিবীর
মানুষ এতটা নিষ্ঠুর এতটা স্বার্থ পিয়াসী
কাউকে কষ্ট দিয়ে নিজের সুখ
খোঁজে বেড়ায় ।
কি বিচিত্র এই
মানুষের জীবন যাপন ।
আমি তো অন্য কাউ কে জানি না
আমি তোমার কথা বলতে পারবো
আমি দেখেছি তোমাকে খুব কাছে থেকে
তোমার চোখের মাঝে ভালোবাসা দেখেছি
আবার সেই তোমাকে নিজের চাহিদার কাছে
বিক্রি হয়ে যেতে দেখেছি ।
আমি দেখেছি তোমার ভালোবাসা নামক বিচিত্র রূপ ।
দেখেছি তোমার
চলে যাওয়া ।

সত্যিই আমি কিছুটা সময়ের জন্য
নির্বাক হয়ে যাই ।

নিজেকে বোঝতে পারিনা জীবনের
চাহিদার কাছে মানুষের ভালোবাসার কোন মূল্য নেই ,
তবে কেন এই ভালোবাসা ?

তবে কেন এই হাজারটা স্বপ্ন দেখা কাউ কে নিয়ে ।

যা বাস্তবতা থেকে অনেক দূর ।
যা শুধু কারো কারো কাছে
ক্ষণিকের আভিনয় ।

আমি ঘৃণা অভিশাপ এই শব্দ গুলোর সাথে পরিচিত নই
তাই হয়তো তোমাকে ঘৃণা করতে পারবো না ।
পারবো না অভিশাপ দিতে ।

কিন্তু শুভ কামনা রইলো যেখানে থাকো ভালো থেকো ।

যতটা ভালো থাকার জন্য আমাকে ছেঁড়ে গেছো
তার চেয়েও বেশী ভালো থেকো ।

আমি একা একাই পথ চলতে শিখে গেছি
জীবন নামের রাজপথে যেদিন তুমি আমাকে একা রেখেই চলে গিয়েছিলে সেইদিন থেকে একাকী পথ চলাকেই ভালোবেসেই
আজও বেঁচে আছি ।

 Writer’s:  Mridul Chandra

ছেলে মানেই শুধু শুতেই পারে, এই কথা যারা বলে,,,,,

ছেলে মানেই শুধু শুতেই পারে,

এই কথা যারা বলে তারা ছোট্ট থেকে বিছানা পেতেই বড় হয়েছে ।

খিচুড়ির মধ্যে শুধু চাল থাকে না , ডালেরও ভূমিকা রয়েছে।

তাই তো কথায় বলে চাল, ডাল মিলিয়ে খিচুড়ি।

Mridul Chandra

মানুষকে তুলনা করুন ভালো কথা, কিন্তু সব মানুষকে একই মাপকাঠিতে মাপবেন না।

ধানের মধ্যে চিটা থাকবেই তাই বলে কি ধান সহ চিটা ফেলে দিবেন?।।।

ফেইসবুকে যোগ হতে এখানে ক্লিক করুন......

এ কেমন পূজোর কারুকার্য?

এমন দেবদেবীদের নিয়ে মজা করার জন্য দাদাবাবুদের চাদা দিচ্ছি আমরা প্রতিবছর? এর প্রতিবাদ আমাদের করতে হবে এদের পূজা মন্ডপ বয়কট করে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। ওরা ধর্মটাকে হাস্যরস ব্যতীত কিছুই বুঝে না, মগের মুল্লুক মনে করছে। দয়া করে এমন পূজা মন্ডপ চোখে পড়লে প্রতিবাদের ঝড় তুলুন, মনে রাখবেন আপন ধর্মকে রক্ষা করতে আপনাকে/আমাকেই প্রয়োজন।

Admin/Facebook link

বলিউড যেমন ভালো সিনেমা কারিগর তেমনি তারা খুব ভালো ড্রাগ মাফিয়াদেরও কারিগর.....

সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী নিজ জ্ঞানে মনে হচ্ছে, "বলিউড" শুধুমাত্র সিনেমাজগৎ না। বলিউড হচ্ছে ড্রাগ ফাফিয়াদের আতুরাশ্রম। আর কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশ্যালয় বলা যেতে পারে।

According to the media, it seems to me that "Bollywood" is not just a movie world. Bollywood is the abode of drug addicts. And in some cases it can be called a brothel......

বাক্য

Mridul Chandra

Mridul Chandra  

Mridul Chandra

Mridul Chandra   

Bahubali Art

Mridul Chandra

Mridul Chandra

 

.....Yodha Art..... 

Mridul Chandra

Mridul Chandra

Click by: Kabita Rani (Maa)

Mridul Chandra

Mridul Chandra  

Nobabi Style (Mridul)

ছ্যাচড়া ভুতু

মানুষের ছোট ছেলেপুলেদের আমরা বাচ্চা বলে থাকি। ভূতদের মধ্যেও বাচ্চা ভূতেরা রয়েছ,তারা সুযোগ সুবিধা পেলে নানা কান্ডকারখানা করে। আর ভূত তো-ইচ্ছা করলে কখন-সখন তুলকালাম কান্ডও করতে পারে। ঘোষবাবুর ছেলে গবু দু’বার ক্লাশ ফাইভে ফেল করল। অংকতে শূ্ন্য, ইংরেজীতে সাত, এমনি তার পরীক্ষার নম্বর- অথচ রেজাল্ট বেরুবার দিন এবার গবু দিব্যি সেজেগুজেই ইসকুলে হাজির হয়েছিল। ইসকুলে যাওয়ার পথে গম্ভীরা সাধুবাবার পায়ের কাছে টাকাও রেখেছিল। গম্ভীরাবাবা তান্ত্রিক সাধু, গবুর ভক্তি লক্ষ্য করে তিনি অত্যন্ত প্রীত হয়ে গবুর কপালে সিঁদুরের টিপ পরিয়ে আশীর্বাদও করলেন। গম্ভীরাবাবা কথা বলেন না, সর্বদা গম্ভীর হয়ে থাকেন। তাঁরচেলা ফটকরামই গম্ভীরাবাবার পায়ের কাছে টাকা পয়সা পড়লে টক করে তুলে ট্যাকে গোঁজে।ফল-ফলাদি পড়লে তুলে নিয়ে আশ্রমের ভাঁড়ার ঘরে রেখে আসে। এটাই নিয়ম এবং এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে চালু আছে। গবু তাই ফটকরামকে জিঞ্জাসা করল, সাধুবাবা তো আর্শীর্বাদ করলেন, এবার পাশ করবো চেলাজী?
- জরুর- বাবা যখন তোমার মাথায় টিপ টিপ পরিয়ে দিয়েছে তখন তোমায় আটকায় কে ? ফাস্ট সেকেন্ডও হয়ে যেতে পারো।
- বলেন কি চেলাজী ?
- ঠিকই বলছি, বাবার আর্শীর্বাদ পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়, বাচ্চা !
অতএব গবু বেশ আন্দের সাথেই ইস্কুলে গেল। গবুর বন্ধু তোন বলল, গবু, এবার পাশ করতে পারবি তো ? গবু হেসে বলল, শুধু পাশ নয়রে, এবার সকল কে চমকে দিয়ে এক থেকে দশের মধ্যেও চলে আসতে পারি।
- বলিস কী রে ?
- ঠিকই বলছি।
তোতন বলল, আমি বোধ হয় ফেল করে যাবোরে, আর ফেল করলেই বড়দা আমায় মেরে তক্তা বানিয়ে দেবে। গবু বলল, ভাগ্যিস আমি গম্ভীরাবাবার আশীর্বাদ নিয়ে এসেছি- নইলে এবারও ফেল করলে- আমায় বড়দা, মেজদা তো বেদম মারতোই, বাবা পর্যন্ত ধাক্কা দিয়ে বের করে দিত।
- তুই আগে বললি নে কেন ? আমিও গম্ভীরাবাবার আশীর্বাদ নিয়ে আসতাম।
- তোকে একথাটা বলার কথা মনে আসেনি। নইলে ঠিকই বলতাম।কিছু মনে করিসনে ভাই।
কিন্ত প্রথম লিস্ট বেরুতেই গবুর নাম খুজেঁ পাওয়াগেল না। দ্বিতীয় লিস্টেও গবুর নাম নেই, কিন্ত তোতনের নাম শেষের দিকে রয়েছে।
তোন হাসতে হাসতে বলেল, তোর নাম যে কোন লিস্টেই নেইরে গবু।
গবু গোঁ গোঁ করতে করতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল।
তোতন আর ঘোতন জল-টল ঢেলে কোন রকমে গবুর জ্ঞানফিরিয়ে আনল।কিন্তু মূর্ছা ভঙ্গ হলেও গবু রেহাই পেলনা, পিয়ন এসে বলল,- এইযে গবুবাবা, আপনাকে আকবার এখুনি হেডস্যার দেখা করতে বলেছেন।
অতএব গবু প্রায় কাঁপতে কাঁপতে হেডস্যারের ঘরে হাজির হলো। হেডস্যার হাতে গবুর প্রোগ্রেস রিপোর্ট খানা ধরা ছিল, তিনি বলেলন, গবু, তুমি কোন্ বিষয়ে কতো পেয়েছ- তোমার জানা দরকার। আমি এক এক করে তোমার বিভিন্ন বিষয়ের প্রাপ্তনম্বর গুলো বলে যাচ্ছি।
গবু মাধা নিচুকরে রইল।
হেডস্যার বলতে লাগলেন, অংকতে শূন্য, ইংরেজীতে সাত, ভূগোলে আঠ, ইতিহাসে নয় এবং বাংলায় তেরো।--- এই প্রগ্রেস রিপোর্ট বাড়ী গিয়ে তোমার বাবাকে দেখাবে- আর বলবে আগামী বছরো ফেল করলে- তোমার মতো এমন রত্নকে আর আমাদের ইসকুলে রাখা হবে না। এই প্রোগ্রেস রিপোর্টটা সঙ্গে নাও, অবশ্য একে প্রোগ্রেস রিপোর্ট না বলে ডিগ্রেডেশান রিপোর্ট বলাই ভালো।
গবু হাত পেতে প্রোগ্রেস রিপোর্টটা সঙ্গে নিল, তারপরই কোন কথা না বলে হেডস্যারের রুম থেকে বাইরে বেরিয়ে এল।
ইসকুল থেকে বাইরে বেরিয়েই পাকা পীচঢালা পথ দিয়ে সে চলতে লাগল, অবশ্য বাড়ীর দিকে নয়- উল্টো দিকের পথে, অর্থ্যৎ অজানা পথে।
বাড়ী ফেরার কথা গবু ভাবতেও পারল না, কারণ বাড়ী ফিরলেই বড়দা আর মেজদা প্রোগ্রেস রিপোর্ট চাইব্, বকবে, তারপর ঝড়ের বেগে বকবে, তারপর ঝড়ের বেগে কিল চড় লাথি মারবে দমাদম। তারপর যে কি হবে, সে-কথা ভেবেই সে শিউরে উঠতে লাগল।
অতএব বাড়ী যাওয়ার কথা সে ভাবতেই পারল না, উল্টো পথ ধরল।
বেশ কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পর পথে চুন্নু মিঞার সঙ্গে দেখা। চুন্নু মিঞার গবুদের বাড়ির বারই পরিচিত, কারণ মাঝে মাঝেই হাসের ডিম, মুরগীর ডিম ইত্যাদি নিয়ে গবুদের বাড়ী যায়।
গবুকে দেখতে য়ে চুন্নু মিঞা জিজ্ঞাস করল, একি গবুবাবু ইদিকে কোথায় চললেন?
গবুর মন মেজাজ এমনিতেই খারাপ ছিল, চুন্নু মিঞার মতন কোনো চেনা লোকের সঙ্গে যে তার দেখ হবে, তা সে ভাবতেই পারেনি। সে বিরক্ত হয়ে বলল, জাহান্নামে যাচ্ছি।
-জাহান্নামে ? হাজান্নামে বলে কোন গাঁ তো ইদিকে নেই, আপনি ভূল পথে আসছেন, আর যিদিকেই যাননা কেন বাবু জাহানপুর বিলের কাছে কখোনও ভরদুপুরে আর সন্ধ্যেবেলায বেড়াতে যাবেন না।
- কেন ?
- জাহানপুর বিলের কাছের গাছগুলিতে বলতে গেলে ছোট-বড়ো নানান ভূতদের আড্ডাখানা। ভূতেরা একবারে গিজগিজ করে শিখানটাতে!
- সেই জাহানপুর বিলটা কোথায় ?
- সোজা এগিয়ে তারপর পাকা রাস্তা থেকে ডান দিকে মেঠো পথ ধরে ক্রোশ খানেক পথ গেলেই জাহানপুর বিল। ভুলেও ওদিকে যাবেন না গবুবাবু, জেলেরা পযর্ন্ত মাছ ধরেতে ওদিকে যায়না- যেতে ভয় পায়।
- কেন?
- যে জেলে জাহানপুর বিলেতে একরার মাছ ধরতে গেছে সে আর ফিরে আসেনি। আমরা দিনের বেলাতেও ওদিকে যাইনা।
- ঠিক আছে। আমি এদিকে সোজাসুজি একবালপুর যাব, ওখান থেকে বাসে চড়ে মামাবাড়ি ঘসেটি যাব।
- তা এই অসময়ে মামাবাড়ি যাবেন কেনে? ইবারেও বুঝি পরীক্ষাতে ফেল করেছেন ?
গবু গম্ভীর হয়ে বলল, তা নয়, একটা বিশেষ দরকারে মামার বাড়ি যাচ্ছি।
গবু কিন্ত একবালপুবে গেলনা, আর মামার বাড়িতেও যাবে না, করণ গতবার সে ফেল করার পর মামাবাড়িতে গিয়েছিল, মেজদা পরের মাসেই মামাবাড়ি গিয়ে তাকে কান ধরে টানতে টানতে বাড়ি ফিরিয়ে এনেছিল। চুড়ান্ত অপমানিত হয়েছিল গবু।
সেই থেকে মামা-মামীর কাছে মুখ দেখানোর কোনো উপায় গবুর নেই। বরং মামাতো ভাই গবুকে এসময়ে মামা বাড়িতে দেখলে হাসাহাসি করবে। বলবে, ওরে গবু আবার বুঝি ফেল করেছিস ?
অতএব আমার বাড়ি যাওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা, মামাবাড়ী বড়দা বা মেজদার নাগালের বাইরে নয় মোটেই।
মনে মনে গবু ঠিক করে ফেলল, সে জাহানপুরের বিলেই যাবে, ভূতদের মুখোমুখি হবে, ভূতেরা যদি তার ঘাড় মটকে দেয় - তবে আর কোন ভাবনাই ধাকে না। বড়দা, মেজদা মারার সুযোগ পাবে না, বকতেও পারবে না, - এমনকি উগ্র মেজাজী বাবার খপ্পরেও পড়তে হবে না তাকে আর।
অতএব সে কিছুটা এগিয়ে জাহানপুরের বিলের পথই ধরল।পথে একটাও জনমণিষ্যি নেই- গাছগুলোর দিকে তাকালেই গা ছমছম করে ওঠে।
একটু এগুতেই কারা যেন খিলখিল করে হেসে উঠল।
গবু চিৎকার করে উঠল, কে হাসে ? কে হাসে ? জবাব দাও।
কিন্তু করো কাছ থেকে কোন সাড়া-শব্দ পাওয়া গেল না, অর্থ্যাৎ কেউ জবাব দিলনা। আরও কিছুটা এগিয়ে যেতেই একটা পেঁচা বিশ্রীভাবে ডেকে উঠল।
গবু আর কোথায় যাবে? আ বেশি দূর এগুবার বোধহয় প্রয়োজনও ছিলনা- কারণ সামনেই জাহানপুরের বিল- বিলের জল টল্ টল্ করছে।দূর থেকেই দেখা যাচ্ছে মাঝে মাঝে দু’একটা বড় মাছ মাথা তুলে যাই মারছে।
গবু আর একটু এগিয়ে বিলের প্রায় কাছাকাছি একটা চালতা গাছতলায় বসল। ওখানথেকে সে দেখতে পেল দু’একটা বেশ বড় মাছ মাথা তুলে তাকিয়ে, আবার ভুস করে বিলের জলে ডুব মারছে। আবার মখি তলে তাকাচ্ছে।, আবার ডুব মারছে।
গবু ভাবল মাছগুলো হয়তোবা সাধারণ মাছ নয়, ওগুলো নিশ্চই মেছো ভূত। মানুষ যেমন অপঘাতে মরে গিলে ভূত হয়, তেমনি হয়তোবা মাছেরা অপঘাতে মরে গিয়ে মেছো ভূত হয়ে থাকে। মানুষ অপঘাতে মরলে যে সচরাচর ভূত হয়, একথা গবু দিদার কাছে শুনেছে। অপঘাতে মরা মানে আত্মহত্যা করে মরা বা দুর্ঘটনায় মরা। ঐ ভাবে অপঘাতে মরার পর যদি তার বংশের কেউ গয়ায় পিন্ডি না দেয়- তবে তারা নকি ভূত হয়ে ঘুরে বেড়ায়।
আর মাছেরা তো সবসময়ই অপঘাতে মারা যাচ্ছে।, তাদের হয়ে কেউতো আর গয়ায় পিন্ডি দিতে যায় না। তাইতো মেছো ভূতেরা এসে জাহানপুরের বিলে জমা হয়েছে।
মাছদের গোত্তরই হয় না, আর গোত্তর না জানা থাকলে গয়ায় গিয়ে পিন্ডি দিয়ে কোন লাভ হয়না। অবশ্য মাছদের গোত্তর থাকতে পারে তা মানুষের পক্ষে অজানা, মাছদের গোত্তর মাছেরাই কেবল জানে, কিন্তু মাছদের বংশের করো পক্ষেই তো আর গয়ায় যাওয়া সম্ভব নয় রেলে চেপে। তাই ওদের মেছো ভূত হয়েই জাহানপুরের বিলে চিরটা কাল থাকেত হবে।

এক পেত্নীর আত্মকথা

এক পেত্নীর আত্মকথা

গণ বাড়ি নয়

একটা ঝোপ ছাড়িয়ে

তার পাশে নদীর ধারে শ্মশানঘাট…
ঐ যে দেখা যায় উজ্জ্বল পতিত জমিটা
তার পিছনেই এক পেত্নীর বসবাস
অল্পদিনের খুব প্রিয় একজন হয়ে উঠেছে...
একাকিত্বে তার অনুপস্থিতি খুব অনুভব করি
যদিও সে কখনোই আমার নয়, তবুও…

তারও দুঃখ আছে, আছে সুখানুভবের অনুভূতি।

বোঝা যায় নদীর জলের সেই কলকলানি শব্দে তার বুকফাটা কান্নার আওয়াজ।   

রাত গভীর হলেইসুখ আর দুঃখের আলাপ করতে
চলে আসে, কখনো জানালার ওপাশে কখনো শিথানে।
তাকে কেউ ভালোবাসে না, তার এ জগৎ এরও কেউ না। 
বেঁচে থেকে যদি ভালোবাসা পাওয়া না যায় তবে নাকি
অন্য জগতের কেউ ভালোবাসে না, অতীত কর্ম টেনে আনে বারংবার। সব কিছুতেই নাকি বৈষম্য,
এই যে পতিত জমি এখানে নির্বাসিত সে।
আজ সে আনন্দিত, উল্লাসিত,ছন্নছাড়া, সে শুধু একটি কথাই বলে
পৃথিবীর ভালেবাসা ছাড়া কোনো জগতেই সুখ নেই।😥

হঠাৎ যদি

হঠাৎ,,,,, 

 যদি মন খারাপ হয়ে যায় অকারনেই , হঠাৎ যদি ছুয়ে যায় খেয়ালি বাতাস, তবে জেনো চুপি চুপি সে বলছে আমার কথাই। যদি কারও দেওয়া কষ্ট তোমাকে খুব কাদায়- তবে জেনো ভালবাসার স্পর্শছায়ায় পাশেই আছি তোমার সব সময়। যদি কখনো নিজেকে খুব একাকী মনে হয় ঐ নীল জোছনার মত, তাহলে দেখবে ভালবাসা নিয়েদাঁড়িয়ে আছি আমি তোমার পথে ।

ব্যক্তিগত তথ্য

মৃদুলের ব্যক্তিগত তথ্য জানতে     

এখানে ক্লিক করুন....... 

পছন্দ গুলো

আমার কালো রং পছন্দ

 কারণ সে অন্যদের মত রং বদলাতে পারে না,

আমার কাঠগোলাপ পছন্দ কারণ তাকে গোলাপের মত কেউ টানাটানি করে না।

আমার তোমাকে পছন্দ কারণ তুমি এক অনন্যা।

যেন তোমার কাছেই আছে আমার হৃদয় নিংড়ানো বেদনা।

আমার ক্লান্ত একবেলা বিকেল পছন্দ,

কারণ সে রাতের চাঁদের মতণ, এত নির্বিচারে মায়া লাগায় না।

ছবিঃ মৃদুল চন্দ্র

আমার সমুদ্রে নিজেকে মিশাতে ভাল লাগে, 

কারণ সে উচ্চ পাহাড়ের মত ধসে পরার ভয় রাখে না।

সমুদ্রের তলদেশে চলে গেলেও যেনো নিজেকে নিমিষেই আবার ভাসিয়ে আনতে পারি।

আমার নতুন দিন পছন্দ,

কারণ ফেলে আসা দিনগুলো তে আমি চাইলেও আর ফিরতে পারবোনা।

তবে বলবো আমি উদাসীন নই,

নির্বিঘ্নতা নিয়ে অগুচরে ঘুরে বেড়ানো তাই আমার স্বভাব।

                   মৃদুল চন্দ্র

ফেইজবুকে এড হতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন....👈 ধন্যবাদ। 

ভালোবাসবি?

আমি বলবো না ভালোবাসি, করবোনা জোর।

ইচ্ছে হলে ফিরে দেখিস, হৃদয়টা শুধুই তোর।

পুরোনো আমি # 

সেলিব্রেটিদের ভালোবাসা কেনো অদ্ভুত।

সেলিব্রেটিদের ভালোবাসা বড় অদ্ভুত   । 

সেলিব্রেটিদের  পিছনে টাইম ইনভেস্ট করো না,, কারন ওরা শুধু ফ্যান ফলোয়ার বাড়াতে চায় আর এ ছাড়া আপনি আমি তাদের কাছে কিছুই না। 

আর লাইভে এসে লাভ ইউ অল, উম্মা উম্মা বলে বেড়াবে প্রতিদিন।

ওরা ভালোবাসার "ভ" ও বুঝে না।।।। 

শুধু ওটা ফ্যান ফলোয়ার বাড়ানোর কৌশল অথবা মার্কেটিং সিস্টেম বলতে পারেন।

 আর হ্যা সবাই সেলিব্রিটিদের মতো গফ/বফ, এমনকি জীবনসংগীও পেতে চাই।

কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন? 

ওরা তো বড় বড় সুপারস্টার, তারা কি আপনার ডাকে সাড়া দিবে 🙄, আর যদি আপনাকে সাড়া দেয়ও একটু ভেবে দেখবেন আপনি যেমনটা ভালোবাসা, আর কেয়ারিং আশা করবেন সেগুলো কি তারা চাইবে করতে কিংবা  করবে?

আমার মতে বন্ধু অথবা প্রিয়জন বানানো উচিৎ নিজের সমকক্ষ অথবা নিজের থেকে একটু হলেও যোগ্যতায় কম। 

কারন সেই ভালোবাসায় পূর্ণতা পাবেন, সাথে কেয়ারিং নিয়ে চিন্তা করার কোনো যুক্তি নেই।

 

আর সেলিব্রিটিরা তো তাদের নিজেদের সমকক্ষদের খুজবে, অথবা তাদের থেকে সামান্য পরিমাণে যোগ্যতা কম আছে তাদেরকে চাইবে। 

আর আপনি, আমিও কিন্তু এরকমই ভেবে থাকি।

স্বয়ং বিচার করুন।

আপনি চাইলে আমার ফেইসবুক পেইজে যুক্ত হতে পারেন।

Mridul Chandra 

Who Is The Real Lover's ?

The purpose of lovers 🙄

Writer: Mridul Chandra

Those who say boyfriend is never afraid are actually wrong.

Because I think people who love to spend time are never afraid because they know what their purpose is, and their thinking is exactly like "I'll catch one when I go".

And a true lover doesn't have time to think about this, he just gets scared, the relationship would have survived, I will get the man of love by my side for the rest of my life.

Faebook Adders:

https://www.facebook.com/srmidulmondal35/

আজকাল যুগের ইউটিউবার

আজকের কথা গুলো সবার জন্য না, শুধু কিছু কিছু ইউটিউবারদের জন্য। 

ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের উল্টো পাল্টা চিন্তা ভাবনা তৈরী করে দেয়া, আর অপ্রাপ্ত বয়সে ১৮+ স্বপ্ন দেখানোর জন্য দায়ি আজকালকার কিছু কিছু ছ্যাচড়া ইউটিউবার। শালার গান্ডু টাকার জন্য কত কিনা করে অশ্লীল ভাষায় কথা বলেও ভাইরাল হতে চায় বা হয়েও যায় শালার গান্ডু কোথাকার। 

ইউটিউবারদের প্রধান উদ্দেশ্য হলে নিজের ব্যক্তিত্বকে তুলে ধরে অন্যদের উৎসাহিত করা, কিন্তু গান্ডু আজ নিজের ক্রিয়েটিভ কিভাবে তুলে ধরছে দেখুন।  ক্যামেরার সামনে এসে কি অশ্লীল ভাষায় গালাগালি, অংগভংগি আরোও কত কি 🙄। এই গালাগালি আর অশ্লীল  ক্রীয়াকলাপও যে একদিন টাকা রোজগারের পথ হবে তা গত প্রজন্মের বড়দাদা রা হয়তো বুঝে উঠতে পারেনি।  তাহলে নিশ্চিত  আমাদের দাদা/ঠাকুরদা আজ ভাইরাল হয়ে কি যেনো বলে 🤔 ওহ হ্যা সুপারস্টার হয়ে যেতো।
যত্তসব গান্ডুমার্কা ইউটিউবার😡😡😡😡।

বিঃদ্রঃ এই কথা গুলো তুলে ধরার প্রধান কারন হলো,, আজকাল কার যে ইউটিউবাররা যা শুরু করেছে ভিউয়ার বাড়ানোর জন্য এবং ভাইরাল হওয়ার জন্য তা এতটা অশ্লীল পর্যায় পৌছে গেছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
ভাইরে একটু লিমিটে থাক, একটা কথা মনে রাখবে তোমাদের ওই ভিডিও শুধু আমরা একা একা দেখি না সাথে গুরজন কিংবা ছোট বাচ্চারাও থাকে। আর ওদের সামনে তোমাদের ভিডিও গুলো ওপেন করলে কতটা লজ্জায় পরতে হয় সেটা কি তোমাদের আন্দাজ আছে?

এবং এই লজ্জায় পরার ভুক্তভোগী আমি নিজেও 😣

 
হ্যা মানছি একটু বেশি মানের ভিউয়ার পেতে গেলে একটু ব্যতিক্রম কিছু উপস্থাপন করতে হয় তাই বলে অশ্লীল পথ বেছে নিবা?
তাহলে কি তোমাদের দেহ-ব্যবসায়ীদের মতো নাম দেবো অশ্লীল ব্যবসায়ী?
পারলে এমন কিছু করো যা দেখে কেউ কিছু শিখতে পারে।
ওহ হ্যা এখন নিশ্চই বলতেছো কেনো এই অশ্লীল কথা বা কাজ গুলোতো একটা শিক্ষনীয় ব্যপার 😐 আরে ভাই ভালো কিছু শিক্ষাও এই অসভ্যতাকে নয়।
তোমরা কাউকে শিখাতে না পারো বিনোদন দাও,  আর সেটাও না পারলে গান করো,  নাচ করো আর যদি তাও না পারো তাইলে এই ইউটিউব ছেড়ে দাও। 🙄
নিশ্চিত  গালাগাল শুরু করে দিছো আমায় আবার তাই না?
আমার ইচ্ছা আমি ইউটিউব করবো কি করবোনা সেটা আম্র ইচ্ছা তাতে কার কি।
হ্যা ঠিকি বলছো, আচ্ছা একটা কথা বলতো তোম্রা যে এই অশ্লীল ভাষায়, অশ্লীল ভিডিও বানাও এগুলো কি তোমার মা, বাবা,  আত্মীয়স্বজন কে দেখাতে পারো অথব তোমার ছোট ভাই,বোনকে দেখাতে পারো?
এগুলো বানিয়ে কি নিজেকে নিয়ে গর্ব করতে পারো?

প্রশ্ন থাকলো উত্তর তোমার কাছে........

এখন তুমি ইউটিউবে অশ্লীল ভিডিও বানাবা নাকি অন্য কিছু করবা সেটা একদম তোমার ব্যাপার।।

ধন্যবাদ লেখাটা পড়ে শেষ করার জন্য।

Mridul Chandra

প্রেমিক

প্রেমিকের চিন্তাধারা.......

Mridul Chandra

যারা বলে প্রেমিক কখনো ভয় করেনা' তারা আসলে ভুল বলে

কারন আমার মতে যারা সময় কাটানোর জন্য প্রেম করে তারা কখনও ভয় করে না কারন তারা জানে তাদের উদ্দেশ্যটা কি, এবং তাদের চিন্তাধারা ঠিক এমন ''একটা গেলে আরেকটা ধরবো''

আর সত্যিকারের প্রেমিক এই কথা ভাবার সময়ই পায়না শুধু ভয় পেতে থাকে রিলেশনটা বেচে থাকবেতো, সারাজীবন পাশে পাবো তো ভালোবাসার মানুষটাকে।

ফেইসবুক ঠিকানাঃ- https://www.facebook.com/srmidulmondal35/

Monday Horror Special Episode 2

অশরীরী ভালোবাসা

#অশরীর_ভালোবাসা_১

লেখকঃ- মৃদুল চন্দ্র (Mridul Chandra) 

সে দূর আকাশের নক্ষত্র হয়ে আছে কিন্তু তবুও সে আমার হ্রদয়ের একটা কোনে আজো রয়ে গেছে৷ 

এখন ভাবছেন সে টা আবার কে তাই না 🙄

হ্যা প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক তবে সেই প্রসঙ্গে বলার আগে আমি কিছু ব্যক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। 

ওর ঠাম্মী প্রায় ১২ বছর আগে মারা যায় এবং তার কিছুদিন পর পরই ওর মা, বাবা, এবং ছোট ভাই রুদ্র এক অদ্ভুত অগ্নিকান্ডে ওদের বাসার মধ্যেই প্রান হারায়।। 🙁

ওর বাবা ছিলো যুক্তিবিদ্যার শিক্ষক আর ওর মা ছিলো একটু সুখী মানুষ এই ধরুন একটু সৌখিন জিনিসগুলো বেশি ব্যবহার করতো আর নিত্যনতুন মেকাপ ব্যবহার করতো। 

আর ওর ছোটো ভাই তখন ক্লাস সিক্সে পা দিয়েছে ফাইভ এর সমাপনী শেষ করে।।।।।।😶

ওর সাথে পরিচয়ের আগে আমি  আমার মামা বাড়ি থেকে গ্রীষ্মের ছুটি কাটিয়ে নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করি মামাতো বোনকে সংজ্ঞে নিয়ে।

বিকেল ৫ টার বাসে মামা আমাদের দুইজনকে (১৩-১৪) নং সিটে বসিয়ে দিলো।

মামা দুজনের জন্য কিছু খাবার কিনে দিয়ে সাবধানে যাস বলে দুজনকে বিদায় জানিয়ে বাস থেকে নেমে গেলো। 

কিছুক্ষণ পর আমি আমার ব্যাগ থেকে একটা রচনা সামগ্রীর বই পড়া শুরু করে দেই আর আমার বোন (সিথী) তার (ট্যাব) দিয়ে গেইমিং করতেছে।

 হঠাৎ ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট করে ঠিক ৫ টা বাচতেই,,,,,,

ধীরে ধীরে গন্তব্যের উদ্দেশে গাড়ি চলতে থাকে আর আমরা আমাদের কাজ করতেছি।😶😶

আমাদের পিছনে বসা ফর্সা করে মুরুব্বি লোকটা একটার পর একটা সিগারেট ধরাচ্ছে আর ফিক ফিক  ধোঁয়া বেরুচ্ছে তার মুখ থেকে।

কিছুটা বিরক্তিকর লাগলেও একই বাসের প্যাসেঞ্জার বলে তেমন কিছু রিয়্যাক্ট করলাম না ভদ্রতা বজায় রাখার চেষ্টা করতেছি। 😏😏😏

ভাটিখালির ফেরীঘাটে পৌছাতে পৌছাতে আমাদের ঘন্টাখানিক সময় লেগে যায় তবে ফেরী ওইপাড়ে থাকাতে ড্রাইভার গাড়ি সাইট করে একটা গাছের  সমিল এর সামনে রাখলো।

তখন প্রায় সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে চারদিকে ঝিঝি পোকার আওয়াজ শোনা যায়। 🐝🐝

কিছুক্ষণ পর শোনা গেলো ওপারের ফেরি নস্ট হয়ে গেছে এবং ফেরী সেড়ে ফিরতে ফিরতে দেড়ি হতে পারে ড্রাইভার জানালো। 

সবাই একটু বিরক্তি বোধ করতেছে কথাটা শুনে,,,,

 এরপর কয়েকজন প্যাসেঞ্জার পিছন থেকে বিরবির করতে করতে বাস থেকে নিচে নেমে গেলো  চা, সিগারেট খাবে হয়তো। 🍷

আমি আমার বোন (সিথীকে) বললাম কিরে তোর খিদে পেয়েছে কিছু খাবি? 

উত্তর দিলো এখন তার কিছু খাওয়ার ইচ্ছে নাই কারন এখন সে গেইমিং এ মগ্ন। 😂

সিথীকে বললাম আমি একটু বাইরে যাচ্ছি তুই এখানেই বসে থাকিস যাবো আর আসবো তাৎক্ষনিক ভাবে ও মাথা নেড়ে উত্তর দিলো আচ্ছা  দাদা তারাতারি আসিস। 

আচ্ছা ঠিকাছে বলে নেমে গেলাম বাস থেকে ,,,,,,, 

আকাশে ক্ষানিকটা মেঘ জমে আছে, কিছুটা দূরে খেয়া ঘাটের পাশে মৃদু আলোয় একটা চায়ের দোকান দেখা যাচ্ছে।

 বাসের পাশে গাছের সমিলটা দেখে মনে হচ্ছে অনেক দিন আগের পরিত্যক্ত  আর চারদিকটা ঝিঝি পোকার শব্দে কেমন একটা থমথমে অবস্থা। 

আমি ফেরী ঘাটের দিক বরাবর পথ ধরে মিনিট দুই হেটে চায়ের দোকানের সামনে দাড়ালাম,, অমনি চায়ের দোকান থেকে এক বয়স্ক লোক বলে উঠলো বাবু চা দিবো নাকি সিগারেট? 

আমি মুচকি হেসে বললাম কাকা একটা রং চা দেন,,,, 

দোকানদার চা নাড়তে নাড়তে আমায় জিজ্ঞেস করলো আপনাদের গাড়ি কি সমিলের সাথে রেখেছে 🙄

আমি বললাম হ্যা ওইখানে সাইট করে রেখে দিয়ে ড্রাইভার বলল ফেরী নাকি নস্ট হইছে আসতে দেরি হতে পারে। 

দোকানদার একটু বিভ্রান্ত মুখ নিয়ে বলল গাড়িটা রাখার আর জায়গা পেলো না,,,,,,,

কথা শেষ করতে না করতেই চায়ের কাপ আমার হাতে এগিয়ে দিলো বলল বাবু আর কি দিবো, 

আমি বললাম না কাকা আর কিছু লাগবে না। 

চায়ে একটা চুমুক দিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলাম সমিল টা অনেক পুরোনো তাই না 🙄🙄🙄

দোকানদার মুখটা নিচু করে কাজ করতে করতে বলল হুম অনেক পুরোনো,,তবে। 

তবে বলেই থেমে গেলো সে,,,, 

আমি বললাম তবে কি কাকা,, 🤔

দোকানদার হঠাৎ থ হয়ে গেলো মনে হচ্ছে সে কিছু বলতে যাবে তখন কিছু ভেবে আর বলেনি,,, 

সে আমার কথা শুনেও না শুনার ভান করে তার কাজ করতে লাগলো কিন্তু আমি আর তাকে দ্বিতীয় প্রশ্ন করলাম না,,। 

চা শেষ করে তার পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে নদীর দিকে তাকালাম এবং নদীর কিনারার দিকে এক পা দুই পা এগোতে থাকলাম। 

নদীর ঢেউ গুলো থেকে কেমন অদ্ভুত শব্দ শোনা যাচ্ছে।  মনে হচ্ছে কাউকে হৈহৈ করে ধাওয়া দিচ্ছে আর কোনো ধাতব দন্ড  দিয়ে নুপুরের উপরে আঘাত করছে।

কিছুক্ষণ এভাবে শব্দ শুনতে শুনতে হঠাৎ একটা শীতল বাতাস গায়ে স্পর্শ করে গেলো মনে হচ্ছে বরফের আভা গায়ে ছুয়ে দিলো কেউ,,। 

সারা শরীর কাটা দিয়ে উঠলো, কেমন যেনো একটা ভীতো ভাব এলো মনের মধ্যে মনে হচ্ছে কেউ আড়ালে  আমাকে দেখছে অন্য কোনো  দৃষ্টিতে। 

এরপর  আর কিছু না ভেবে তাড়াহুড়ো করে গাড়ির দিকে চলে আসলাম। 

সিথী গেইমিং করা শেষ করে মাথা গাড়ির জানালার দিকে এলিয়ে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। আর বাকি প্যাসেঞ্জার গুলোর কেউ কেউ বিরক্ত স্বরে ড্রাইভার কে ডাকতেছে। 

ড্রাইভার এই ড্রাইভার কি হলো ফেরী কি এলো, কখন আসবে আর কতক্ষণ বসে থাকতে হবে এই অপয়া জায়গায় 🙄

অপয়া জায়গার কথা শুনে আমি চমকে গেলাম এখানে এমন কি জায়গা যে অপয়া জায়গা নাম দিলো। 🤔

 আমি সিথীকে তার ঘুমে কোনো ভাবে বিরক্ত না করে সিটে এসে বসলাম। 

মোবাইলটা বের করে দেখি ৭ টা বাজতে আর ১২ মিনিট বাকি কিন্তু এখনো ভাটিখালির নদী পাড় হতে পারিনি। 

খুব বিরক্তি লাগতেছে এখন নিজের কাছেও , 

বাবা বারবার বলে দিয়েছিলো তাড়াতাড়ি রওনা দিতে।  কিন্তু সিথীটার জন্য দেরী হয়ে গেলো যতো ধরনের সাজুগুজু আছে সব ওর করতে হবে। 

তাছাড়া মেয়ে মানুষ নিয়ে যারা বেড়াতে গেছেন তারা এটা নিশ্চিত বুঝে গেছেন তারা কতটা দেরী করে রেডি হয়।

যাই হোক বাদ দেই এসব,  এবার বাকি কথায় আসি। 

হঠাৎ ফেরীর আওয়াজ শুনতে পেলাম  মনে মনে বললাম যাক বাবা অবশেষে ফেরী চলে এসেছে চিন্তা মুক্ত হলাম। কিন্তু পাশের মানুষদের মাঝে কোনো রিয়্যাক্ট চেঞ্জ হতে দেখতে পেলাম না।

তারা সেই আগের মতোই বলে চলছে ফেরী কখন আসবে ফেরী কখন আসবে ড্রাইভার ও ড্রাইভার। 

আমি ভাবলাম তারা হয়তো ফেরীর শব্দ শুনতে  পায় নি তাই এখনো চেচামেচি করতেছে। আমি তাদেরকে ভালো মন্দ কিছু বলিনি চুপ করে বসে আছি। 

সিথীর দিকে হাত বাড়িয়ে ওকে টোকা দিয়ে জাগাতে যাবো তখন আবার আমি ভাবলাম থাক এখনো অনেকটা দূরের পথ বেচারী ঘুমিয়ে থাকুক এই ভেবে ওরে আর বিরক্ত করিনি। 

অনেক্ক্ষণ কেটে গেলো কিন্তু ফেরীর এখনো কোনো দেখা নেই।

 আরও ২০ মিনিট আগে শুন্তে পেলাম ফেরীর শব্দ এখনো ঘাটে এসে পৌছালো না কেনো। 

কেমন একটা ব্যাপার হলো তাই না,, 

এই ২০ মিনিট এর মধ্যে ফেরী ঘাটে এসে পৌছে যাওয়ার কথা কিন্তু সেই ফেরীর কোনো হোদিস পাচ্ছি না। 

কাউকে কিছু জিজ্ঞেস না করে তারাহুরো করে আবার বাস থেকে নিচে নেমে পড়লাম।

 নদীর কাছে যেয়ে দেখি ফেরী তো দূরে থাক কোথাও কোনো একটা নৌকাও নেই। মনে মনে প্রশ্ন জাগলো তাহলে আমি যে ফেরীর শব্দটা শুনলাম সেটা কি ভূল ছিলো 🤔

সেই চায়ের দোকানটাও বন্ধ করে দিয়েছে কোথাও এক বিন্দু আলো দেখতে পাচ্ছি না,, আকাশে এখনো মেঘ জমে আছে আর নদীর ঢেউ থেকে সেই অদ্ভুত ধরনের নুপুর ভাংগার শব্দ শুনতে পাচ্ছি।

বাইরে অনেকটা ঠান্ডা অনুভব কঅরতেছি , হয়তো নদীর কাছে  বাতাসের কারনে এমন ঠান্ডা অনুভব করাটা স্বাভাবিক। 

হঠাৎ পিছন থেকে মেয়ে কন্ঠ শুনতে পেলাম,,  যার জন্য অপেক্ষা করছেন তার আসতে বড্ড বেশি দেরি আছে।

পিছন ঘুরে তাকাতেই চোখ কপালে উঠে যাওয়ার মতো অবস্থা,, 

একটি অপরুপা মেয়ে আমার সাথে সেধে সেধে ঠোঁট নাড়িয়ে কথা বলতেছে।

চোখ গুলো বলতে পারেন হরিনী চোখ যার দিকে তাকালে ক্রাশ খেতে আপনি বাধ্য। তবে তাকে কিছু বলার সাহস পাচ্ছি না যদিও মেয়েটা আমার সাথে সেধে এসে কথা বলতেছে।

কি জিজ্ঞেস করবো,, কি জিজ্ঞেস করবো ভাবতে ভাবতে বলে দিলাম আপনি কি করে জানলেন আমি কারো জন্য অপেক্ষা করতেছি? 😣

মেয়েটা এক অদ্ভুত হাসি  দিয়ে বলল এখানে যারা  আসে সবাই কারো না কারো জন্য অপেক্ষা করতেই আসে।।

আমি মেয়েটার কথায় একটা কিন্তুক খুজে পাচ্ছি । 

#চলবে___________?

করোনা কভিড-১৯ বিদায় নিলেই, বিয়ে দেয়া হবে সকল মিমারস'দের জানালেন বিবাহ মন্ত্রী (Married Bosu)।

করোনা কভিড-১৯ বিদায় নিলেই, বিয়ে দেয়া হবে সকল মিমারস'দের জানালেন বিবাহ মন্ত্রী (Married Bosu) ।

কি দাদা/দিদি  খুশি হইয়াছেন 🙄

কোনও লাভ নাই আপনাদের কপালে বিয়া নাই।   

আরোও পড়ুন............ 

বিবেচনা

বেঁচে থাকার জন্য,

ধর্ম কিতাবের থেকে কর্ম জ্ঞান  উজ্জ্বল।

স্বয়ং বিবেচনা করুন।

[ আপনি সারাদিন ধর্মীয় কিতাব পড়বেন তাতে দু-বেলা খাবার জুটবে কিনা স্বংশয় থাকে। তবে যদি আপনার মাঝে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকে  তাহলে আপনার উপোস থাকতে হবে না। ] 

বিঃদ্রঃ ধর্ম আমাদের আচার ব্যবহার,  শিষ্ঠাচার শিক্ষা দেয়, কিন্তু কর্ম আমাদের অন্ন জোগায়। 

কথায় বলে আপনি বাঁচলে, বাপের নাম। তেমনি ব্যক্তির বেচে থাকা জরুরী, আর নাই বাঁচলে শিষ্ঠাচার ভক্তি কার জন্য ?   

বিবেচনা

বেঁচে থাকার জন্য,

ধর্ম কিতাবের থেকে কর্ম জ্ঞান অতি উজ্জ্বল।

স্বয়ং বিবেচনা করুন।

[ আপনি সারাদিন ধর্মীয় কিতাব পড়বেন তাতে দু-বেলা খাবার জুটবে কিনা স্বংশয় থাকে। তবে যদি আপনার মাঝে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকে  তাহলে আপনার উপোস থাকতে হবে না। ] 

বিঃদ্রঃ ধর্ম আমাদের আচার ব্যবহার,  শিষ্ঠাচার শিক্ষা দেয়, কিন্তু কর্ম আমাদের অন্ন জোগায়। 

কথায় বলে আপনি বাঁচলে, বাপের নাম। তেমনি ব্যক্তির বেচে থাকা জরুরী, আর নাই বাঁচলে শিষ্ঠাচার ভক্তি কার জন্য ?   

Modern Jethar Posha Tiger �� ������

জ্যাঠা যখন পাত্রী দেখতে যায় তখন, কি হাল হয় দেখুন ��������

বলছিলাম একটু চা হবে ����.......

Mridul Chandra

পেত্নীর সাথে ঘর সংসার (সিজন ২) পর্ব ৩য়

-কি আর বলবো ভেবে পাচ্ছি না একদিকে আমার প্যান্টের অবস্থা খারাপ ট্যাংকি পাঞ্চার হইয়া মাখামাখি অবস্থায় আছে আর এই দিকে পেত্নীর অপয়্যা ভালোবাসার ফাদ 😭 মনে হচ্ছে নরকের বর্ডারে আছি।

কি আর বলবো খান্দানী জামাই বলে আরোও একটু ভিজিয়ে দিলো আমায়, না করতে পারলাম না 😂🤣।

হঠাৎ মনে পইড়া গেলো হায় হায় আমার  মানুষ বউটা তো পপকল থুক্কু পপকর্ণ নিয়া যাইতে বলছে। হাত ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে দেখলাম সিনেমা শেষ হতে আর মাত্র ১৫ বাকি আছে আর যা করার এখুনি করতে হবে। 

পেত্নী বউয়ের কাছে আরেকবার শেষ চেষ্টা করা যায় কি না দেখি।

পেত্নী বউকে বললাম হ্যাগো শোনো না যদি এখুনি তাড়াহুড়ো করে যাই শশুর বাড়ি তাহলে তো সবার সাথে সময় দিতে দিতে তোমাকে আর সময় দেয়া হবে না। 

--কি বললা তুমি আমায় তুমি সময় দিতে পারবা না?

-- ও বউ রাগ করে না,, একটু বুঝার চেষ্টা করো।  তুমি তো আমার সুবুদ্ধিমান থুক্কু সুবুদ্ধীমতি সোনা বউ তোমারে কি সময় না দিয়ে পারি বলো। তাছাড়া তুমি বলো আমি এতো দিন পর তোমাদের বাড়ি যাবো মানে মানচিত্র মার্কা শশুরের বাড়ি যাবো। আর সেখানে গিয়ে যদি শুধু তোমার পিছে পিছে ঘুড়ি তাইলে তো সবাই আমায় অন্য চোখে দেখবে। তার থেকে আমি বলছিলাম কি বউ তুমি যদি এখানে দুই দিন থেকে যাও তাহলে এখানে বসে তোমায় নিয়ে একটু ঘুড়াঘুড়ি করতে পারতাম আর কি। 

-- পেত্নী বউ কিছু একটা ভেবে বলল আচ্ছা তাইলে তাই হবে। তবে হ্যা আমি কিন্তু মাত্র দুইদিন থাকবো তারপর তোমায় আমি সাথে নিয়া যামু তখন যেনো কোনো কথা কইতে পারবা না। 

-- আচ্ছা আচ্ছা বউ তাইলে তাই হবে।

-- চলো তাহলে শশুর বাড়ি। 

-- আমি বললাম ওই ওই কি বললা এই মাত্র তো বললাম শশুর বাড়ি দুইদিন পরে যাবো আর এখন আবার শশুর বাড়ির কথা বলতেছো কেনো। 

-- পেত্নী বউ বলল এই কি তুমি খানদানি পোলা,, বুদ্ধি কি হাটুতে নাইমা গ্যাছে নাকি 🙄। 

-- বউ তুমি কিন্তু আমায় রীতিমতো অপমান করে কথা বলতেছো,। 

-- আরে বাপু অপমান করবো না তো কি করবো,,  তুমি কি ভাবো তোমার একারই শশুর বাড়ি আছে?  আমার নাই? 

-- আমি একটু গম্ভীর ভাব নিয়া বললাম ওহো বুঝছি তুমি আমায় উপড়ে উপড়ে হুমকি দুমকি দাও আর তুমি তলে তলে অন্য শশুর বাড়ি বানিয়ে নিছো তাই না।

-- ওই তুমি আমায় কি ভাবো হুম,, আমাদেরোও কিন্তু একটা ভূ-সম্মান বলে কিছু একটা আছে হুম্ম 🤔 আমি তোমার বাড়ি মানে আমার শশুর বাড়ি যাওয়ার কথা বলছি। 

--আমি অবাক হয়ে বউকে জিজ্ঞেস করলাম সবি না হয় বুঝলাম তাইলে তোমাদের এই ভূ-সম্মান টার মানে কি। 🙄

-- বউ বলল ওরে আমার খান্দানী জামাইরে,,, তোমাদের মানুষের যেমন মান সম্মান আছে,, আর আমাদের ভুতদের জন্যও ভূ-সম্মান আছে হুম।

-- ও বাবাগো বাবা ভূতের আবার ভূ-সম্মান 😂 তাইলে তোমার বাবা মানে আমার ন্যাংটা শশুরের ভূ-সম্মান কোথায় গেলো?  নাকি তার ভূ-সম্মান চুষে খাইয়া ফেলছে? 🙄

-- বউ বলল এবার কিন্তু সত্যি সত্যি কান্না করে দিমু বাবার নামে কিছু বললে  আবার 🤢

-- আমি মনে মনে বললাম ভূতদের কান্না শুনলে একটুও কস্ট হবে না তবে খুব বেশি বিরক্তি লাগবে এবং যার  অতীতের অভিজ্ঞতা আমার আছে। 

(ভূতেরা কু কু কু কু কু করে কাদে চাইলে আপনিও শুনতে পারেন 🙄 এবার দয়া করে বলবেন না যেনো ভূতদের ঠিকানা টা দিতে।) 

-- আচ্ছা আর কাদতে হবে না,, এবার আমি যাই কেমন কাল আবার দেখা হবে। 

-- ওই আমারর রাইখা কোথায় যাবা হুম। 

-- কেনো আমি আমার বাড়িতে যামু। 

-- বউ বলল তাইলে আমি কোথায় যাবো 🥺

--তুমি তো পেত্নী তুমি যে কোনো জায়গায় তো থাকতে পারো চাইলে তুমি গাছের যেকোনো একটা ডালে ঝুলে ঝুলে থাকতে পারো। 

-- তুমি এইটা বলতে পারলা 🙄 আমি কি তোমায় বিয়ে করেছি গাছের ডালে থাকবার জন্য। যদিও তা না হয় মানলাম তবে তোমার ছেলে প্যাপুর কথা একটু চিন্তা করলা না,, ছেলেটা গাছের ডালে কিভাবে থাকবে বলো। 

-- হুম এই প্যাপুটাই তো এখন একমাত্র আপদ । 

-- ওই ওই তুমি কি বললা। 

-- আরে না না আমি তেমন কিছু বলিনি শুধু বলেছি এই প্যাপুকে ডালে ঝুলিয়ে রাখাটা খুব বিপদ। 

-- হুম সেটাই তো তোমায় বললাম। 

-- মনে মনে বললাম কি বিপদ আর ওই আপদটার,, যা বিপদ তো আমার ঘাড়ে চেপে বসে আছে। 

-- কিগো চুপ করে আছো কেনো?

-- আমি বললাম বউ শশুর বাড়ি যাইবা ভালো কথা তবে একটা শর্ত আছে। 

তুমি আমার সাথে আমাদের বাড়িতে ঢুকতে পারবা না। 

--বাড়িতে ঢুকতে পারবো না মানে কি,,?

-- না মানে আমাদের বাড়িতে এক ভাবী এসেছে সেই ভাবী ভূতকে খুব ভয় পায় আর যদি সে তোমায় দেখে তাহলে সে নিজেকে ঠিক রাখতে পারবে না। 

-- তার মানে আমি অনেক খারাপ দেখতে তাই না,, তাহলে এতদিন তুমি আমায় মিথ্যা মিথ্যা বলছো আমি সুন্দরী আর কিউট পেত্নী 😢। 

-- ও বউ মিথ্যা হবে কেনো,, সত্যি তুমি খুব কিউট একটা পেত্নী। তবে আমার চোখ তো আর ভাবীর নাই, তাই সে উল্টো পাল্টা দেখবে আর ভয় পাবে।

-- বউ কিছু একটা ভেবে বলল আচ্ছা তাহলে তাই হবে। 

-- আমি বললাম আমি বাড়িতে ঢুকার  কিছুটা সময় পর তুমি আমাদের বাড়ি ঢুকবা।  কথাটা শোনার পর পরই পেত্নী বউটা কাইল্লা পাতিল টা নিয়া থুক্কু প্যাপুকে নিয়া প্রস্থান করলো।

হয়তো অভিমান করছে........

 হঠাৎ সামনের দিকে চোখ ফিরাতেই দেখি,, আমার মনুষ্য পরিবারের তিনজন এই দিকেই হেটে আসতেছে। মানে আমার বড় মেয়ে, আমার বউ আর বউয়ের পেটের বাচ্চা মিলিয়ে তিনজন। 

এক আপদ বিদায় দিয়ে আরেক বিপদের সম্মুখীন হচ্ছি। 

চলবে........ 

 

পেত্নীর সাথে ঘর সংসার (সিজন ২) পর্ব ২য়

সিনেমা হল থেকে বের হয়ে একটু সাইডে গিয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে দাড়ালাম ট্যাংকি ফুল লোডে আছে।।। 

প্যান্টের চেইন খুলতেছি আর মনে মনে বির বির করে বলতেছি হালার কোন যুগ আইলোরে।। 

আগে সিনেমা হলে ঢুকতাম মুড়ি আর নারিকেলের আইচা নিয়া। আর এখন কিনা ভুট্টার খৈ লাগবে🙄  তার আবার নাম রাখা হইছে পপকল আরে ধুর থুক্কু পপকর্ণ।

একটু পরে.....

কথা দিছিলা আর বিয়া করবা না,, আমারেই নাকি ভালোবাসবা সারাজীবন, এই জন্যই কি আমি তোমাকে ছেড়ে চলে এসেছি ?

আমি পিছন থেকে এইসব কথা শুনে চেইনটা উপড়ে টেনে ঘুরে দাড়ালাম,, 

😱এ,,মা,,  এ তো দেখছি আরেকটা পুরোনো আপদ এসে হাজির হইছে। 😭

আমি ধরেই নিয়েছি এবার আর রক্ষে নেই, ঘার মটকে  ছাড়বে।

এখনো হা করে পড়তেছেন আর ভাবতেছেন আমার ঘাড় মটকাবে কে তাই না,,🤔

আরে ভাই এই সেই আপদটা যাকে আমি গত জন্মে থুক্কু কুড়ি বছর আগে এই পেত্নী টারে বিয়া করেছিলাম। 🥵

আমার মুখ থেকে কোনো কথা বের হচ্ছে না, তল পেটের নিচে ট্যাংকিটা চেপে ধরে রেখেছি শক্ত করে কারন হিসিটা পুরোপুরি করার আগে সিগ্ন্যাল পড়ে গেছে 😥...

আমি খানদানি পোলা বলে কথা ট্রাফিক সিগন্যাল তো মেনে চলতেই হবে।

এই অনুভুতিটা একমাত্র সেই বুঝবেন যে কোনো না কোনো কারনে এমন সিগ্ন্যাল এর সম্মুখীন হয়েছেন।

যাক গে ছাড়ুন ওই কথা,,, 

কিরে তোর মুখ থেকে বুলি বেরোচ্ছে না কেনো,? তুই না খানদানি পোলা তাইলে এমন সিধা হইয়া মুন্ডি চেপে দাড়িয়ে আছিস কেনো........😌🥴

আমি বললাম বো বো বো  বউগো আমি তোমারে এতোটা দিন খুবি মিস করেছি তাই তো এই কুড়িটা বছর ধরে এই সিনেমা হলের সামনে এসে অপেক্ষা করি কবে তোমার এই সুন্দর মুখ খানা দেখতে পাবো 🥵... (মনে মনে বললাম সুন্দর না ছাই)

আমার কথা শেষ হতে না হতেই,, চোখ দুটো তালের আঁটির মতো করে পেত্নী বউটা আমায় বলল,, তোমার লজ্জা করল না এমন মিথ্যা কথা বলতে? 

সাথেসাথে লজ্জা পেয়েছি এমন ভাব দেখানোর জন্য আমি আমার মুন্ডিটা থুক্কু ট্যাংকিটা ছেড়ে দুই হাত দিয়ে নিজের মুখখানা চাপিয়া ধরিয়াছি, আরে ধ্যাত্তেরিকা বেশি কবি কবি ভাব হইয়া গেলো 🙄 না মানে চেপে ধরছি।

কিন্তু এ"মা এতো দেখছি এখন সর্বনাশ হইয়া গেলো,,😭 নিজের গাড়ির বাকি রাখা পেট্রল নিজের প্যান্টেই লিক করে দিয়েছি। একদম মাখামাখি অবস্থা তা না দেখে বুঝতে পারবেন না। আর হ্যা ভুলেও আবার দেখতে চাইয়েন না,,, পেত্নি বউটা আমায় যা ইচ্ছাই বলুক না কেনো আমার কিন্তু লজ্জা বলে কিছু একটা আছে।

 পেত্নিটা থুক্কু পেত্নী বউটা বলল আমায়  হ্যাগো শোনো না দেখোতো কাকে আজ নিয়ে এসেছি। 

-- মনেমনে বলতে লাগলাম কি আর করার যা হওয়ার হয়ে গেছে, প্যান্টের নিচের শুষ্ক গরম আভাস টা নিয়ে মুখ থেকে দুই হাত সড়িয়ে তাকালাম পেত্নিটার দিকে,,থুক্কু বউটার দিকে।

প্লিজ আপনারাই এখন ডিসাইড করে দেন আমি এখন তারে কি ডাকবো বউ নাকি পেত্নি 😰

তাকিয়ে দেখলাম তার বগলের মাঝখান দিয়ে কি যেনো একটা কাইল্লা পাতিলের মতো বের করছে।

--আমি বললাম এটা আবার কি আনলা 🙄 ভাবছিলাম অনেক দিন পর দেখা হইছে তো তাই ভালো মন্দ কিছু খাবার আনছে পেত্নি বউটা আমার জন্য।

--এ"মা এতো দেখছি কাইল্লা পাতিলটা হাটতেছে 🙀

-- পেত্নি বউটা বলল এটা তোমার ছেলে গো, নাম প্যাপু🌝 কেনো ভুলে গেছো বুঝি🤔

-- আরে না না ভুলবো কেনো ওরে নিয়া কতইনা চিন্তা করি আমি,, 

--হ্যাগো কি চিন্তা করো ওরে নিয়া। 

--কি বিপদে আছি এক মিথ্যা বলে ঢাকতে গিয়ে আরেক মিথ্যা বলতে হবে , আমি নিশ্চিত হতে পারছিনা নরকেও আমার ঠাই হইবে কিনা।

বললাম ওরে আমি অভিনেতা বানামু আর এই স্বপ্ন নিয়েই আমি বেচে আছি।

-- হ্যাগো তুমি ঠিকি বলছো তোমার বাবার সাথে খুব ভালো অভিনয় করতে পারে তোমার ছেলে।

--সে কি আমার বাবার সাথে কাইল্লাটার থুক্কু প্যাপুর দেখা হলো কিভাবে।

--পেত্নি বউ বলল আরে আমার বাবা,,

--ওহ ন্যাংটা বাবা, থুক্কু মানচিত্র বাবা আরে ধুর শশুর মশাই বাবা।?

--হুম...... 

--সে এখনো বেচে আছে?

--কি অলুক্ষুনে কথা বলছো এই অল্প বয়সে কেউ মরে যায় নাকি। 

--সেকি বুইড়ার অল্প বয়স এখনো 🤔 এই জন্যই তো বলি এতো রস আর এত্তো লুইচ্চামি করে কেমনে। 

--অই উল্টা পাল্টা কথা বলবা না একদম,,, বাবা এখন ছোট মাকে পেয়ে খুব ভালোই আছে।

--ওই ছোট মা মানে 🐈

--বাবা আরেকটা বিয়া করছে.....

--আমি বললাম সেকি এই বু*****

আমার কথা থামিয়ে বলল,, এই শোনো আমার বাবারে একদম বুইড়া বলবা না। 

--আরে ধুর কি যে বলো আমি বুইড়া বলবো কেনো,, বলছিলাম বুদ্ধি আছে তার। আচ্ছা কাকে বিয়া করলো? 

--ওই যে তুমি যার ডিম ফাটাইছিলা।

এবং পরে সে বিচার বসাইছে এবং তখন বাবা বলছে তার ডিম আবার ফেরত দিয়ে দিবে। 

সবাই বলল কিভাবে ফেরৎ দিবে ডিম বাবা সরল মনে বলল তারে আমি বিয়ে করে ডিম ফেরৎ দিয়ে দেবো। 

--ওরে আমার সরল মনরে,, লুইচ্চার কি বুদ্ধি মাইরি 🥴🥴

--ওই একদম বাবারে লুইচ্চা বলবা না 🙄 যা হইছে সব তোমার জন্যই হইছে তুমি ডিম না ভাংলে এমন হইতো না। 

--মনে মনে বললাম হ্যা তা ঠিক কেনো যে গেলাম ডিম ভাংতে। তাই একটু নরম স্বরে বললাম শশুরকে বইলো আমায় ক্ষমা করে দিতে, না বুঝে শুনে ওই ভুত্নিটার ডিম ভাংছি। 

--ওই একদম ভুত্নি বলবা না,, সে আমার ছোট মা মানে তোমার শাশুমা 🙄

--আচ্ছা আচ্ছা,,, বলবো না,, 

তবে এটা বলো আমার শালীকা কেমন আছে? 

-- ওহ এখনো শালীকারে ভুলো নি,, আবার আমার বাবাকে লুইচ্চা বলা হচ্ছে তাই না।

-- আরে না না তোমাদের সবাইকেই খুব মনে পড়ে সব থেকে বেশি মনে পরে এই কাইল্লা প্যাপু কে, 🥵 থুক্কু সোনা প্যাপু কে।  এই বলেই প্যাপু মানে আমার পেত্নির ঘরের ছেলেকে কোলে তুলে নিলাম আর একটু লোক দেখানো আদর দিয়ে বললাম এবার আমি তোমার সাথে যাবো সোনা প্যাপু 😘😘।

--পেত্নি বউয়ের হঠাৎ আমার কথা শুনে চোখ মুখে অন্ধকার নেমে এলো একদম কালো করে রেখেছে মুখটা,,, (আপনারা চাপ নিবেন না, আসলে পেত্নিরা খুব খুশি হলে চোখ মুখ কালো করে ফেলে)

পেত্নি বউটা মনে হচ্ছে আকাশের চাদ হাতে পেয়েছে,, আমায় জড়িয়ে ধরে হ্যাগো তুমি সত্যি যাবে তো🤗, এই না হলে আমার খানদানি জামাই। 

--কি আর বলবো ভেবে পাচ্ছি না একদিকে আমার প্যান্টের অবস্থা খারাপ ট্যাংকি পাঞ্চার হইয়া মাখামাখি অবস্থায় আছে আর এই দিকে পেত্নীর অপয়্যা ভালোবাসার ফাদ 😭 মনে হচ্ছে নরকের বর্ডারে আছি।

কি আর বলবো খান্দানী জামাই বলে আরোও একটু ভিজিয়ে দিলো আমায়, না করতে পারলাম না 😂🤣।

চলবে........

ছ্যাকা খেয়ে হজম

আরে কে রূপক ভাই না....

এই যে চিনিতে পারছেন না? 

আচ্ছা সহজ করে দিচ্ছি। নয়ণ কে চিনেন না। আরে আপনার ছাত্র যে ছেলেটা এস.এস.সি ফেল করছিল আপনি পড়ানোর পর যে এ+ পেল। চিনতে পারছেন না আরে আমি তিথী। আরে আপনার এই অবস্থা কেন। 

কি হইছে আপনার? 

কোথাও ব্যাথা পাইছেন? দেখি দেখি....! 

ব্যাথা ব্যাথা বুকের ভিতরে। আমি বিশ খাবো!!! মদ খাবো!!!!সব খাবো ও আমাকে ছেড়ে গেছে, ছেড়ে গেছে হুহুহুহু...হুহুহুহু। 

তিথীঃ আরে আরে কাদঁচ্ছেন কেন। কাঁদবেন না। আসুন আপনার কথাই শুনবো আজকে। এই আসুন আসুন, আরে আসুন তো.. গায়ের এতো গন্ধ কেন। আপনি কি নেশা করতেছেন। আপনার মত রূপক স্যারের এই অবস্থা। 

জানেন, আমি এখন সিগারেট খাই। ---আগে তো খেতেন না। 

---আমার চৌদ্দ গোষ্ঠী কেউ খায় না। ---আর কি খান? 

---মদ খাই। প্রতি দিন। 

---আর কিছু করেন, কই কই দেখি ইন্জেকশন যে নেয়, আপনি নেন নি? গাঁজা খান না গাঁজা।? 

---না ধক বেশি কাঁশি বের হয়। 

---কাঁশি বের হয় না...🤔কে করেছে এই অবস্থা? 

রূপকঃ তাহলে শুনুন 

---আমি একটা মেয়েকে ভালোবাসি...... তার নাম অয়ন্তিকা। তার বাসায় বক্সে চিঠি দেই। 

অয়ন্তিকাঃ- এটা কি? কি এটা???? রূপকঃ- খাম।

অয়ন্তিকাঃ- এর ভিতরে কি? 

রূপকঃ- চিঠি। 😔

---কি লেখা আছে? 

---প্রেম পত্র!!! 

---আমি old মডেল পছন্দ করি না। প্রোপোজ কর। এখন হাটুগেরে প্রোপোজ কর। 

আমি হাটু গেরে ভয়ে ভয়ে তাকে প্রোপোজড করলাম। তার খুব রাগ। আমি খুব ভয় পেতাম। অয়ন্তিকা বলল তোমার কোনো কিছুই আমার পছন্দ না আমার। 

হাতে এটা কি? 

...ব্যাজ লাইট 🙄

এসব চলবে না। কি ড্রেস এটা ছি... সব চেন্জ করতে হবে। আমার কথা সব শুনতে হবে। 

---হুম।

.......তারপর এক দিন...... অয়ন্তিকা বলছে নাও সিগারেট খাও। 

রূপকঃ-আমার চৌদ্দ গোষ্ঠি কেউ সিগারেট খায় না। 

---তুমি খাবে? 😡

---হুম। 😔

এইভাবে আমাদের প্রেম চলতে থাকে। প্রায় ৬মাস পরে। পার্কে ও আমাকে একটা চিঠি দিলো। 

রূপক:- কার বিয়ে,? 

অয়ন্তিকা:- আমরা দুজন বিয়ে খেতে যাবো। খুলে দেখ। 

খুলে দেখি অয়ন্তিকার বিয়ের কার্ড। সে আমাকে বলল কি আছে তোমার, কয়েকটা টিউশনি আর কি? আর ১০টা বয়ফ্রেন্ডের মত তুমিও। আর কখনো ফোন দিবে না আমাকে। আর যদি ফোন দিছো তাহলে খবর আছে আর কাউকে বলবেনা না যে তুই আমার বয়ফ্রেন্ড ছিলি। আর হ্যা আমাকে হেল্প করার জন্য ধন্যবাদ। আমার বিয়েতে আসতে বলিনি। আর কখনো যেনো না দেখি আমার সামনে 🙄

 তিথী :- মেয়ে টা এখন কি করে? 

---সুখে আছে খুব সুখে আছে। স্বামীর সাথে খুব সুখে আছে। 

---হম। মেয়েটা সুখে আছে, আপনি কি করছেন। নিজেকে শেষ করে দিচ্ছেন। যে রূপক স্যারের কাছে স্টুডেন্ট পড়ার জন্য উঠে পড়ে থাকতো, সেই রূপক স্যার কিনা স্টুডেন্ট পায় না। যে একজন ভালো মেধার মানুষ, সে এখন ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় প্রতি সেমিস্টারে রেফার্ট খায়। আপনার বাবা-মা জানে এই অবস্থার কথা? 

---না। 

---আপনার বাবা-মা জানলে কি ভালো থাকবেন তারা। আরে নিজের বাবা-মায়ের কথা ভাবুন। কাল থেকে আপনার নতুন রুটিন শুরু। আপনি তো অনেক মানুষকে ভালো করে বাঁচতে শিখিয়েছেন। দেখি, আমি আপনাকে ভালো করতে পারি কি না। এইযে, উঠুন চলেন। বাসায় ফিরে আসলাম। পরের দিন থেকে আমরা জীবনের নতুন এক অধ্যায় শুরু হলো। প্রতি দিন তিথী এসে সকালের নাস্থা করায়। এই ভাবে দিন কাটতেছে মোটা মোটি। এখন আর সিগারেট খাইনা মদ খাই না.. আবার আগের মত জীবন শুরু হলো। এদিকে তিথী আসলো। 

---এই যে শুনুন আমার যে ছোট ভাই মাত্র ক্লাস ৮ এ পড়ে তাতেই খুব পাকছে ওকে ভালো করার দ্বায়িত্ব আমি আপনাকে দিলাম। এখন তো পারবেন নাকি। ও হ্যা, আপনার সেমিস্টার ফাইনাল  পরিক্ষার peparetion কেমন.?

 ---হুম ভালো। 

বেশ কিছুদিন কেটে গেলো। আমারো  পরিক্ষা শেষ হয়ে গেল। আমি মনে মনে ভাবতেছি রেজাল্টটা বের হলে তিথীকে প্রোপোজ করবো কারন যে মেয়েটা আমাকে এত ভালোবাসে, আমাকে খারাপ থেকে এতটা ভালো করল। যার কারনে আমি নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম। সেদিন আমার পরীক্ষার রেজাল্ট বের হলো। তিথী আমার কাছে আমাকে জিঞ্জাসা করল আপনার পরিক্ষার রেজাল্ট কি? 

---আমি চুপটি করে আছি। 

---কি আবার ফেল করেছেন? 

আমি তিথীকে জড়িয়ে ধরলাম। আর বললাম আমি তোমার জন্য আজ নতুন কিছু............ শেষ করার আগেই তিথী আমাকে ঠেলে দিয়ে বলল কি করছেন। ---কেন আপনি আমাকে ভালোবাসেন না। 

---না, আমি আপনাকে ভালোবাসি কিন্তু এভাবে না। I have boyfriend But... আপনি কখনো জানতে চাননি তাই বলা হয় নি... সব কিছু ঠিক থাকলে এতদিনে বিয়ে করে ফেলতাম। প্লিজ আমাকে ভুল বুঝবেন না। বলেই তিথী চলে গেল। আমি আগের মত ছ্যাকা খেয়ে এবার আর আগের মত ব্যাকা হয়ে যাইনি। কারন তিথী শিখিয়েছে কিভাবে বাচঁতে হবে। হয়তো এটাই ওর সত্যিকারের ভালোবাসা। আমি নিজের মত জীবন শুরু করলাম। এখন আমি এক অন্যতম গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিতে চীফ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে  অধ্যয়নরত।

বিঃদ্রঃ- [ গল্পটি পুরোপুরি কাল্পনিক তবে মাঝে মাঝে এমন কিছুই ঘুরপাক খেতো আমার মাথায় যে এমন হলেও একটা ভেংগে যাওয়া জীবন স্বাভাবিক হতে পারে। আসলে ভালোবাসলে যে তাকেই পেতে হবে এটা কোনো কথা নয়, কথা হলো ভালোবাসার মানুষটিকে ভালো রাখা। ]

রিভিউ দিতে ভুলবেন না। 

গুন্ডি প্রেমিকা (অন্তিম পর্ব)

এই না না প্লিজ কোথাও যামু না আমার গলা থেকে ছুড়ি টা নামান প্লিজ!! (আমি)

– কেন আমায় ভয় লাগছে? ছুড়ি টা টেনে দেই গলায়। (পুজা)

– আমি আপনার সব কথা শুনবো প্লিজ ছুড়ি টা নামান গলা থেকে।

– কেন নামাবো ছুড়ি হুহ কেনো? তুই আমায় ধাক্কা মারছিস, আমার কপাল ফাটাইছিস, আমার প্রিয় ফুসকা খেয়েছিস তোকে ছাড়ছি না।

– আমার ভুল হয়ে গেছে, আর এমন করব না?

– এখন এতো ভালো করে কথা বলছিস কেনো??

– তোমার মতো গুন্ডির সাথে যে কেউ ভালো করে কথা বলবে।🥵

– কি বললি তুই? আমি গুন্ডি? তোরে দিলাম ছুড়ি টেনে।

– এই না না ভুলে বলে ফেলেছি গুন্ডি না। একটা নীল পরী!!!

যাক বাবা নীল পরী বলে বেচে গেলাম। এতক্ষনে গলা থেকে ছুড়ি টা নামালো।

কি মেয়ে রে ভাই গাড়ির মধ্যে কেউ এমন করে। যদি ছুড়ি টা টেনে দিতো তাহলে তো আমিই শেষ। আর কোন বাদরামী করা জাবে না কারন বাদরামী করলে খুন হওয়ার চাঞ্জ আছে। 

তারপর কনের বাড়িতে এসে পড়লাম, বাড়িটা অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছে।বিয়ের আয়োজন চলছে আর আমি বিয়ে বাড়িতে সুন্দরীদের দেখছি।

– এই তুই ঐ মেয়েটাকে চোখ মারলি কেনো? (পুজা)🙄

– আমার চোখ আমার ইচ্ছে আমি মারতেই পারি আপনি বাধা দেওয়ার কে??

– না তুই চোখ মারবি না? আর একবার যদি কোন মেয়েকে চোখ মারিস তাহলে তোর চোখ তুলে ফেলব??🥴

– আজব তো কে আপনি? আর আমার পারসোনাল বিষয়ে কথা বলছেন কেন?🤔

 আমি যদি আপনাকে চোখ মারতাম তাহলে কথা ছিলো।

– ঠাসসসসসসসসস,😞 তুই আবার আমার মুখের উপর কথা বলতেছিস। আর তুই যে মেয়েটাকে চোখ মেরেছিস ও আমার মামাতো বোন।🤨

– তাই বলে বিয়ে বাড়িতে আবার থাপ্পর দিবেন।🥺

– উল্টা পাল্টা কাজ করলে থাপ্পর দিবো না তো কি আদর করব?😏

– পুরাই গুন্ডি…..?🙁

– ঐ তুই কি বল্লি আমি গুন্ডি? দাড়া দেখাচ্ছি।🤨🤨

দাদা  আর কিছু না বলে দিছি দৌড়। ধরতে পারলে আবার থাপ্পর দিতো সিওর।

ইসস কত্ত ইচ্ছা ছিলো ২৭

নাম্বার টা ম্যানেজ করার কিন্তু

এই পুজার জন্য কিচ্ছু হলো না।

অথচ পালিয়ে আসলাম বিয়ে

বাড়ি থেকে। 

নাহ আর বিয়ে বাড়ি

যাব না। ওখানে গেলেই ওই পুজার অত্যাচার শুরু হয়ে যাবে তার চেয়ে

আজ রাতটা এই অচেনা জায়গায়

পার করে দেই। আর ফোনটাও

বন্ধ করতে হবে নাহলে

সবাই কল করে বিরক্ত করতে

পারে। সকাল ৮ টায় আবার বিয়ে

বাড়িতে গেলাম আর গিয়ে দেখছি

আমার মা আর পুজা কাঁদতেছে।

কি আজব কাহিনি রে জ্যাঠা🤔

কন্যা বিদায়ের সময় মেয়ে আর

মেয়ের পরিবার কান্না করে😥

আর আজ আমি এসব কি

দেখতেছি।😲

আমার পরিবার কান্না

করতেছে কেনো??

আমাকে পুজা দেখা মাত্রই আমার

সামনে এসেই……

– ঠাসসসসস,ঠাসসসসসসস….?🤜🤜

(কি বুঝেননি তো জ্যাঠা,, ঠাসসস  ঠাসসস মানে মেরেছে আমায় আবার পুঁজা)😭

– ওই আপনি কি আমার গাল

দুটো কিনে নিয়েছেন? যে কথায় কথায় শুধু থাপ্পর মারেন??(আমি)

– তুই সারারাত কোথায় ছিলি? তোর ফোন বন্ধ কেনো ছিলো?(পুজা)

– আমার ফোন বন্ধ ছিলো তাতে আপনার কি??

– আমার অনেক কিছুই?? তুই এখন থেকে আমার সাথে সাথে থাকবি👈

– কেন আপনার সাথে সাথে

থাকব কেন?

– যা বলছি তাই করবি? নাহলে খুন করে ফেলব তোরে….?🤨

– আচ্ছা ঠি ঠি ঠিক আছে।🙁🙁

আর কি করার ভদ্র ছেলের মত পুজার কথায় রাজি হলাম।

এখন কারনটা বুঝতে পারছি। কেন মা আর পুজা কান্না করেছে আমার ফোন বন্ধ ছিলো আর

আমি ও বিয়ে বাড়িতে ছিলাম

না তাই। বিয়ে শেষ আমরা আবার গাড়িতে উঠে বসলাম। পুজা আবারো ঠিক আমার পাশে এসে বসলো কিন্তু এবার হাতে ছুরি নাই তাই একটু ভালো লাগছে।😌😌 হাউ রোমান্টিক 😁

– ওই পুজা কি করছেন এসব?

আমার কাধে মাথা রাখছেন কেনো?? 

– আমার রাতে ঘুম হয়নি তাই

এখন ঘুমাব।😣

– ঘুমাবেন তো ভালো কথা তাই বলে আমার কাধটা কি বালিশ পেয়েছেন নাকি?🙄

– ওই তুই চুপ থাকবি কি না??😡

– আউউউউউউউউউউ, ওই আপনি আমারে চিমটি কাটলেন কেন?(আমি)

– তুই কাধ থেকে আমার মাথা সরালি কেনো??🤨🤨🤨

– তাই বলে এত্তজোরে চিমটি দিবেন??

– আর একবার যদি আমার মাথা

তোর কাধ থেকে সরাস তাহলে

তোর আসোল জায়গায় চিমটি

মারব বলে দিলাম??🥵🥵🥵

[কি গুন্ডি মেয়েরে বাবা ]

– এই না না না ঠিক আছে আপনি

আমার কাধে যতখুশি মাথা রাখেন

আমি আর কিচ্ছু বলব না।

– হুম এইতো গুড বয়।

পুজা ওর হাত দিয়ে আমার গলা জরিয়ে ধরে আমার কাধে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে।

আর ওর চুল গুলো বাতাসে উড়ে এসে

আমার মুখের উপর পড়ছে। আমি

ঘুমন্ত অবস্তায় পুজার দিকে একবার

চোখ ফিরে তাকালাম, পুজাকে

অসম্ভব সুন্দরী লাগছে। ওই যে বললাম না নীল পরী 👰 ঘুমন্ত অবস্থায়

এতো সুন্দর লাগে আগে জানা

ছিলো না। সত্ত্যি বলতে আমি ওর

প্রেমে পড়ে গেছি। কিন্তু এই কথা

ওকে বললে আমার রক্ষা নেই

– এই যে উঠুন আমরা আমাদের জায়গায় চলে এসেছি?? (আমি)

– উমমমমমমমম….? (পুজা)

– হইছে অনেক ঘুমাইছেন এবার উঠুন।

– আর একটু ঘুমাই না প্লিজ। তোমার কাধে মাথা রেখে অনেক ঘুম পাচ্ছে।

– আরে কি আজব। উঠুন বলছি এসে গেছি তো?

-…………?

পুজার মাথা আমার কাধ থেকে সরিয়ে

চলে আসলাম। আর এসেই ব্যাগ গুছাতে লাগলাম কারন এখানে আর থাকা সম্ভব না। তাই ব্যাগ গুছা শেষ করে ব্যাগ নিয়ে আমার বাসায় চলে আসলাম কাউকে না বলেই।

দুইদিন পর ছাদে দাড়িয়ে আছি। কিছু ভালো লাগতেছে না পুজাকে অনেক দেখতে ইচ্ছে করছে। আমি ওকে সত্যি সত্যি ভালোবেসে ফেলেছি।

কিছুক্ষন পর কারো পায়ের নুপুরের শব্দ

পেলাম, পিছনে ফিরেই দেখি পুজা

আসতেছে আমার দিকে। দেখে মনে

হচ্ছে অনেক কেঁদেছে আর প্রচন্ড রেগে আছে। আর এসেই……….

– ঠাসসস, ঠাসসসস,🤜🤜😰😰

 তোকে না আমি

বলছি তুই আমার সাথে সাথে থাকবি কখন ও আমার পিছু ছাড়বি না। তাহলে না বলে কেনো চলে এসেছিস??(কেঁদে কেঁদে নয়ন ভাসিয়ে বলছে)

-……………….? (আমিও কেদে ফেলেছি)😭😭

– কি হলো কথা বল ঠাসসস।🤜

চুপ করে আছিস কেনো ঠাসসসস?🤛

-……….?(মনে বলছি আমি কি মাইরের ঘট নাকি,, যে কথায় কথায় ঠাসসস ঠাসসস দেয়)

আমাকে জড়িয়ে ধরে বলছে..

– আই লাভ ইউ রূপক, তোকে অনেক ভালোবাসি। তুই কেনো আমাকে বুঝিস নি।

– আমি তোমাকে ভালোবাসি না পুজা।🤫

ভালবাসতে পারি একটা শর্তে??

– কি…?

– এতদিন থেকে যতগুলা ঠাসস ঠাসস থাপ্পড় দিছো

এখন ততগুলো পাপ্পি দিতে হবে। বলেই দিছি দৌড়🥵🥵🏃🏃

– ওরে শয়তান পোলা,,,পারলে হুমকে আয় বলছি? (হুমকে মানে সামনে আয় #ফ্যাক্ট বরিশালের আঞ্চলিক ভাষা)

– না হুমকে গেলে আবার থাপ্পর মারবা।😂

– না আর থাপ্পর দিব না।

– না আমি যাব না তুমি আবার….?🙄

– ওই তুই সামনে আসবি কি না? (রেগে পুজা)

– এইতো আসছি আমি।🚶

– চল..।

– কোথায়???

– বিয়ে করব।

– কি বলো এসব?

– হুম আজকেই বিয়ে….

অতঃপর বিয়েটা করেই ফেললাম সদর রোডের কালী মন্দিরে গিয়ে।

আজ ফুলসজ্জা রাত

– এই তুমি এতদুরে বসে আছো কেন? কাছে আসো?

– না কাছে যাবো না।

– আসো বলছি….?

– এই আসছি এবার হইছে?

– উম্মমাহহহহহ, উম্মাহহহহ, উম্মমাহ, উম্মাহহহহ, উম্মাহহহহ,

– এই করছো কি পাপ্পি দিতে দিতে

মেরে ফেলবা নাকি আমাকে?😂😂

– কি বলছিস মনে নাই… উম্মাহহহহ, উম্মাহহহহ, উম্মাহহহহ,,(পুজা)

,

জ্যাঠা আপনি এখন ও এখানে আছেন?🙄 দেখছেন না আমার পাগলীটা পাপ্পি দিচ্ছে? এখন যান পাপ্পি শেষে দেখা কইরেন।

>> সমাপ্ত << 

গল্পটা পড়ে কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন।