বসন্তের হৈমন্তী (পর্বঃ ২)

এই যে আপু একটা কথা বলবো?

জী বলেন?

আপনি কি প্রতিদিনই এই জায়গায় চটপটি খেতে আসেন?

জী। 

আমিও প্রতিদিন এই সময় এখানে চটপটি খেতে আসি।

ও তাই নাকি।

এটা বলে মেয়েটা একটা মুচকি হাসি দিয়ে চলে যায়।

আমিও বাসার দিকে রওনা দিলাম।

রাতে শুয়ে শুয়ে মেয়েটার কথা চিন্তা করতেছি।

আর ভাবতেছি,মেয়েটিকে কি আমি ভালোবেসে ফেলেছি,

নাকি এটা শুধুই ভালোলাগা।

এই সমস্ত আজগুবি কথাবার্তা চিন্তাভাবনা করতে করতে শুয়ে পরি।

বিকাল হয়ে সন্ধ্যা নেমে এলো, 

আমিও যথা সময়ে দুলাল ভাইয়ের চটপটি দোকানে যাই।

সেখানে অনেক সময় ধরে ওই মেয়েটির জন্য অপেক্ষা করতেছি।

কিন্তু মেয়েটি আসতাছে না।

সে কি আজকে আসবে?

ওই দিকে দোকানদারি করা ছোট ছেলেটা আমার সাথে চিল্লাচিল্লি লাগাইয়া দিছে,আমি নাকি হুদাই বসে আছি,কিছু খাচ্ছি না।

আরে ভাই আমার বন্ধু আসতেছে তার জন্য অপেক্ষা করতেছি।

মনে মনে বলতেছি বন্ধু না ছাই,আমি তো ওই মেয়েটির জন্য অপেক্ষা করতেছি। 

কিছুক্ষণ পর দেখি মেয়েটি রিকশা থেকে নামতাছে।

নেমে এসে দোকানদার ভাইয়ের কাছ থেকে চটপটি নিয়ে খাওয়া শুরু করছে।

মেজাজ হইয়া গেল গরম। 

আরে ভাই যার জন্য এতো সময় ধরে বসে আছি,সে নাকি এসে আমার আগেই খেতে বসে গেল।

আমার আর কি করার,চেহারা সুরুত মোটেও ভালো না।

তাই কেউ ফিরেও তাকায় না।

তবে আমি একটা জিনিস খেয়াল করে দেখলাম,মেয়েটি চটপটি খাচ্ছে আর এদিক ওদিক তাকাচ্ছে।

মনের ভিতর একটু সন্দেহ জাগতে লাগলো।

আসলে আমি যেখানে বসেছি সেখান থেকে মেয়েটির চেহারা সঠিক ভাবে বুঝা যাচ্ছিল না।

আমি একটু সামনে গিয়ে বসলাম।

বসার সাথে সাথে মেয়েটি আমাকে দেখে,একটা মুচকি হাসি দেয়।

আমিও একটু ভাব নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম।

আরে আপু আপনি?

জী ভাইয়া। 

তো আপনি কখন আসলেন?

এইতো ভাইয়া কিছুক্ষণ আগেই,আপনি?

আমি তো সেই সন্ধ্যা থেকেই অপেক্ষা করছি।

অপেক্ষা মানে,কার জন্য? 

আপনার জন্য।

আমার জন্য মানে?

আরে নাহহ আপু,আমার এক বন্ধু আসবে তো, তার জন্য সেই সন্ধ্যা থেকে অপেক্ষা করতেছি।

ও আচ্ছা।

বুঝলাম না সব মাইয়া মানুষ কি একই নাকি।

কোন প্রশ্ন করে না।

আমার আর কি করার ঠেহা তো আমার, আমার তো কথা বলতেই হবে।

আচ্ছা আপু কিছু মনে না করলে আপনার নাম টা কি জানতে পারি?

জী ভাইয়া অবশ্যই,আমার নাম হৈমন্তী। 

বাহহ ভারি সুন্দর নাম তো আপনার।

আচ্ছা হৈমন্তী নামের অর্থ জানেন?

হা জানি,ভাগ্যবান এবং উদার।

হা ঠিক বলেছেন,এবং আপনার ভিতর তা আছে।

কিভাবে বুঝলেন?

এইতো আপনার সাথে কথা বলে।

তবে আপনার নামের মতোই,আপনি দেখতে কিন্তু অনেক সুন্দর। 

মেয়েটি একটা মুচকি হাসি দিলো।

মেয়েটির খাওয়া শেষ ওই দিকে আমার আর চটপটি খাওয়া হলো না।

মেয়েটি চলে যাচ্ছে,মনে মনে বললাম আচ্ছা মেয়েটির কি ফোন নাম্বার চাইবো,না তাহলে খারাপ ছেলে ভাববে।

এমনটা ভাবতে ভাবতে মেয়েটি হঠাৎ কাছে এসে বললো...

 আচ্ছা ভাইয়া আপনার সাথে কন্টাক করা যাবে কীভাবে?

আমি তো মনে মনে ভাবতে লাগলাম, বাহহ মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। 

আমি কন্টাক করার জন্য ফেইসবুক আইডিটা দিলাম।

কারন ফেইসবুক আইডি দিলে সবই পাওয়া যাবে।

কথা বলা শেষে আমি সেখান থেকে বাসায় চলে আসি।

রাতে আমার মেসেঞ্জারে টুইং করে একটা মেসেজ আসে।

লেখাঃ রতন। 

চলবে....

꧁ 𝐸𝓀 𝐵𝑒𝓁𝒶𝓇 𝐿𝒾𝓅𝒾𝓀𝒶 ꧂