বসন্তের হৈমন্তী শেষ পর্ব

মেসেজটিতে লেখা ছিলো।

অয়ন বাসা থেকে আমার জন্য ছেলে দেখা হচ্ছে, তুমি কিছু একটা করো।

হঠাৎ আমি বিস্মিত হয়ে যাই।

যাকে আজ পর্যন্ত আমার ভালোবাসার কথাই বললাম না তার মুখে এ কথা শুনে আমি রীতিমতো অবাক হয়ে যাই।

তারপর হৈমন্তী আমাকে মেসেজ দিয়ে বললো।

বাসা থেকে আমাকে বলেছে,আমার কোন পছন্দর ছেলে আছে কিনা।

আমি কিছু না ভেবে তোমার কথা বলে দিয়েছি।

তারা তোমাকে দেখতে চাইছে।

আমি জানি তুমি হয়তো আমার সাথে রাগ করবে।

কিন্তু এটা ছাড়া আমার আর কিছু করার ছিলো না।

এখন তুমি কিছু একটা করো।

আমিঃ আমি আর কি করবো বলো,আমি তো এখনো বেকার।

আর কোন বাবা,মা বেকার ছেলেদের কাছে নিজের মেয়েকে তুলে দিবে।

আমার এখনো গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করতে ১ বছর সময় লেগে যাবে।

বসন্তের হৈমন্তীঃ আমি এতো কিছু বুজি না। 

যা করার তারাতাড়ি করো।

আমিঃ আচ্ছা তুমি কি আমায় ভালোবাসো?

বসন্তের হৈমন্তীঃ ভালো না বাসলে কি তোমার কথা বলি।

আমিঃ আচ্ছা আমি রাজি আছি।

বসন্তের হৈমন্তীঃ তুমি আমায় ভালোবাসো?

আমিঃ ভালো না বাসলে কি বিয়ে করার জন্য রাজি হই।

তাদের বাসায় আমরা গেলাম।

তারা এই বিয়েতে রাজি হয়েছে।

বিয়ের দিন তারিখ সব ঠিক হয়ে গেল।

বিয়ের আগের দিন আমি আর হৈমন্তী কিছু কেনাকাটার জন্য মার্কেটে যাই।

কেনাকাটা করে বাসার ফিরার সময় মাঝ রাস্তায় আমাদের গাড়ি খারাপ হয়ে যায়।

তাই ড্রাইভার ভাইকে কিছু টাকা দিয়ে বলি,গাড়ি ঠিক করে যেন বাসায় নিয়ে আসে।

আমি আর হৈমন্তী বাসে চড়ে বাসার দিকে ফিরছিলাম।

হঠাৎ কিছুদূর যাওয়ার পর একটা বিকট শব্দ হলো।

আমি আর হৈমন্তী ছিটকে গিয়ে অনেকটা সামনে গিয়ে পরি।

আমার আর বুজতে বাকি রইলো না।

আমাদের গাড়ি এক্সিডেন্ট হইছে।

হৈমন্তী আমার পাশে শুয়ে আছে।

তার হাত,পা,মাথা থেকে অঝর রক্ত বের হচ্ছে।

মেয়েটা বড্ড বেশি আঘাত পাইছে।

আমি কোন রকম আমার মাথায় একটা কাপড় বেধে রক্ত পরাটা বন্ধ করি।

আমি হামাগুড়ি দিয়ে হৈমন্তীর পাশে যেতে লাগলাম।

হৈমন্তী কে ডাকতে শুরু করলাম।

কিন্তু হৈমন্তী আমার ডাকে সারা দিচ্ছে না।

আমি হৈমন্তী কে আমাকে বুকে নিয়ে জোরে জোরে চিৎকার দিয়ে বলতে লাগলাম হৈমন্তী তোমার কিছু হবে না আমি তো আছি।

তোমাকে আমি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো।

তুমি সুস্থ হয়ে যাবে।

কিন্তু হৈমন্তী আমার ডাকে সারা দিচ্ছে না।

এতোক্ষুনে হৈমন্তী মনে হয় পরপারে চলে গেছে।

লেখাঃ রতন।

꧁ 𝐸𝓀 𝐵𝑒𝓁𝒶𝓇 𝐿𝒾𝓅𝒾𝓀𝒶 ꧂