জীবনের সব ক্ষেত্রে সঙ্গীর ইতিবাচক মনোভাব থাকতে হয়

নিজের মন-মানসিকতার মতো একই মন-মানসিকতার মানুষকে জীবন সঙ্গী হিসাবে পাওয়া নিতান্তই ভাগ্যের ব্যপার!আমরা সবসময় ভিন্ন স্বভাবের মানুষকেই জীবন সঙ্গী হিসাবে পাই।

আর স্বভাব ভিন্ন থাকা মানেই এই নয় যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য থাকবে স্বভাবে।সঙ্গী অভিমান করলে তার অভিমান ভাঙ্গানোটা অপর মানুষটার দায়িত্ব।এখন সঙ্গীর অভিমান ভাঙ্গানোর মতো মন-মানসিকতা যার নেই,তার সাথে সংসার করাটা খুব একটা কঠিন না হলেও–যন্ত্রণার তো বটেই!

যারা রোমান্টিক স্বভাবের মানুষ,তাদের বেশিরভাগই বেরসিক স্বভাবের জীবন সঙ্গী পায়!সঙ্গীর জন্য যদি একটু রোমান্টিক হতে হয়,তবে একটু রোমান্টিক হলেই বা কি ক্ষতি?বরং দাম্পত্য জীবনে একে-অপরের রোমান্টিক স্বভাবের কারণেই দু'জনার মাঝে দারুণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

তবে বেরসিক কিংবা গম্ভীর স্বভাবের মানুষকে জীবন সঙ্গী হিসাবে যে পায়,দাম্পত্য জীবনে প্রেমের রসায়নটা তারা কখনোই বুঝে উঠতে পারে না!

জীবনের সব ক্ষেত্রে সঙ্গীর ইতিবাচক মনোভাব থাকতে হয়।সবসময় না হোক,অন্তত পক্ষে সঙ্গী যখন হতাশ হয় কিংবা অসহায়বোধ করে!কিন্তু যে মানুষটাই সঙ্গীর হতাশা এবং অসহায়ত্বের কারণ,তাকে ঠিক কে বুঝাবে?

সংসার জীবন মানেই বিপরীত স্বভাবের একটা মানুষের সাথে ভারসাম্য রক্ষা করে পরস্পর পরস্পরকে বুঝতে চেষ্টা করা।বিপরীত স্বভাব থাকা দোষের কিছু নয়,তবে তা যদি আকাশ-পাতাল পার্থক্য হয়,সে ক্ষেত্রে সংসার জীবন কেবলই তিক্ততার বলেই মনে হয়!

লেখাঃ

𝐸𝓀 𝐵𝑒𝓁𝒶𝓇 𝐿𝒾𝓅𝒾𝓀𝒶 ☑

আমি তো সেদিনই জিতে গিয়েছিলাম যেদিন তোমায় ভালোবাসতে পেরেছি।

এই যে তুমি আমায় ধরে রাখতে পারলে না,বুকের কাছে যত্নে রাখতে পারলে না–

এই ব্যর্থতা শুধু তোমার!

আমি তো কেবল তোমার আপন হতে চেয়েছিলাম।

তুমি আমায় অযত্নে অবহেলায় দূরে ঠেলে দিলে,শেষবেলায় খোঁজ নিলে না,মনের ব্যকুলতা জানতে চাইলে না, কষ্টের দিনে দেখা দিলে না–

এই ব্যর্থতা শুধুই তোমার।

আমি তো সেদিনই জিতে গিয়েছিলাম যেদিন তোমায় ভালোবাসতে পেরেছি।

অভাবের এই দুনিয়ায় কজন ভালোবাসতে পারে বলো?

ভালোবাসা যে আজকাল দূর্লভ,তোমার মতোই দূর্লভ।

𝐸𝓀 𝐵𝑒𝓁𝒶𝓇 𝐿𝒾𝓅𝒾𝓀𝒶 ☑

তোমাকে পাইনি বলেই তো না পাওয়ার কষ্টটা অনুভব করতে পারি

তোমাকে পাইনি বলেই হয়তো আজ আকাশের চাঁদ দেখতে এত সুন্দর লাগে!তোমার সাথে একসাথে চাঁদ দেখাটা খুব মিস করি!

তোমাকে পাইনি বলেই আজও মনের সীমান্তে মেঘ জমে বৃষ্টি নামে,বৃষ্টি ছুঁয়ে দেই অনায়াসে।

তোমাকে পাইনি বলেই তো না পাওয়ার কষ্টটা অনুভব করতে পারি!পেয়ে গেলে হয়তো পাওয়ার আনন্দটা পেতাম ঠিকই,তবে তোমাকে না পাওয়ার যন্ত্রণায় সারাক্ষণ 'তুমি' নামক মাইগ্রেনের ব্যথায় ছটফট করতাম না!

তোমাকে পাইনি বলেই মনে হয় তোমাকে আরো কাছে পেতে!পেয়ে গেলে হয়তো আর তোমাকে চাওয়ার কোনো উপলক্ষই থাকতো না।

তোমাকে না পেয়েই তো আমি কবি বনে গেলাম!তোমাকে পেয়ে গেলে কবিতায় ছন্দ দিতাম না।তোমাকে পেলে আমি প্রেমিক হতাম ঠিকই তবে কবি হতাম না!

𝐸𝓀 𝐵𝑒𝓁𝒶𝓇 𝐿𝒾𝓅𝒾𝓀𝒶 ☑

ফিরে এসেছিলো একটা ভেজা খাম হাতে নিয়ে

যাবার সময় সে কথা দিয়েছিলো

ফিরে আসবে,

আজ সে ফিরে এসে তার কথা রেখেছে।

তবে সে থাকতে আসেনি,

সে এসেছে

পরিপূর্ণ বিচ্ছেদের দরখাস্ত নিয়ে!

𝐸𝓀 𝐵𝑒𝓁𝒶𝓇 𝐿𝒾𝓅𝒾𝓀𝒶 ☑

সেটা ভালোবাসা, প্রেম বা বন্ধুত্বই হোক

ভালোবাসার মাঝে হালকা ভয় থাকলে, সেই ভালোবাসা মধূর হয়।কেননা, হারানোর ভয়ে প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা আরো বেড়ে যায়!!

𝐸𝓀 𝐵𝑒𝓁𝒶𝓇 𝐿𝒾𝓅𝒾𝓀𝒶 ☑

অন্যের কাছে স্মার্ট সাজার থেকে নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে রাখা অতি উত্তম

আপনার কাছে যদি রেস্টুরেন্টের মুরগি আর সাদা ভাত বেশি ভালো লাগে তবে আপনি সেটাই খান!

অন্যের চোখে স্মার্ট সাজার জন্য আপনার কাচ্চি অর্ডার করার প্রয়োজন নাই!

যদি ক্যাপাচিনো খেতে ভালো না লাগে জোর করে ভালো লাগানোর দরকার নাই, আপনি টংয়ের দোকানের দুধচা খান, কোনো দ্বিধা ছাড়াই দুধ চায়ের ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড দেন। আপনার গেম অব থ্রোনস ভালো লাগে না, আপনি ডার্ক বোঝেন না, শার্লক দেখতে আপনার বিরক্ত লাগে, আপনি দেইখেন না।  

আপনার কবিতা পড়তে ভালো লাগে না, পড়বেন না। বৃষ্টি হলেই যে কবিতা পড়তে হবে এই কথা কোথায় লেখা আছে? 

বৃষ্টির দিনে চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমাতেও কি কম শান্তি?

 স্টাইলিশ আর টাইট ফিটিং জামা কাপড় পড়ে কমফোর্ট ফিল না করলে পড়বেন না, ঢিলাঢালা জামা কাপড় পড়ে বের হবেন, সবাই স্টাইলিশ জামা কাপড় পড়লে আপনারও পড়তে হবে এমন কথা নেই, যারা আপনার ভিতরটা না দেখে গায়ের কাপড় দিয়ে বিবেচনা করে তাদের সাথে না মেলামেশাই আপনার জন্য ভালো!

অন্যের চোখে নিজেকে ড্যাশিং প্রমাণ করার জন্য নিজের উপর কিছু চাপায়ে নিয়েন না।

 ক্যাপাচিনো পছন্দ না করলে যে সার্কেলে আপনার ইজ্জত থাকে না, "গেম অব থ্রোনস, ডার্ক, শার্লক" পছন্দ না করলে যে সার্কেলে আপনি ক্ষ্যাত, ট্রেন্ডি ভাবে না চললে যে সার্কেলে আপনি আঁতেল উপাধি পান, ঐটা টক্সিক সার্কেল, ওখান থেকে বের হয়ে আসেন! 

যারা আপনাকে আপনার মত করে গ্রহণ করতে পারে না, তাদের কাছে গ্রহনীয় হওয়ার চেয়ে একা থাকা ভালো।

 একশো'টা নাক উঁচু জাজমেন্টাল টক্সিক ইন্টেলেকচুয়ালের সাথে কৃত্রিম আড্ডার চেয়ে একজন সাধারণ দিলখোলা মানুষের সাথে এক বিকেল আড্ডা দেওয়া অনেক বেশি প্রশান্তির।

𝐸𝓀 𝐵𝑒𝓁𝒶𝓇 𝐿𝒾𝓅𝒾𝓀𝒶 ☑