অপরূপ চোখ

লেখা: মৃদুল চন্দ্র মন্ডল 

বাসর রাতে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলাম,

"তোমার সবচেয়ে পছন্দের জিনিস কী?"

শ্রাবণী আলতো করে ঘোমটা টেনে লাজুক স্বরে বলল,

"সমুদ্র! সমুদ্র আমার অনেক ভালো লাগে। সমুদ্রের পাড়ে গেলে নিজেকে খুব হালকা মনে হয়। সমুদ্র আমার এতটাই ভালো লাগে যে, কেউ যদি আমাকে মেরে সমুদ্রে ভাসিয়ে দেয় তবুও আমার কোন দুঃখ হবে না।"

পরের সপ্তাহে শ্রাবণীকে নিয়ে হানিমুনে গেলাম কক্সবাজার। রাতের বেলায় সমুদ্র আসলেই অনেক সুন্দর। নির্জন বীচে গিয়ে বস্তার মুখ খুললাম। খুব যত্ন করে ছাপান্ন টুকরো করে কাটা ওর শরীরের অংশ গুলো ভাসিয়ে দিলাম সমুদ্রে। বড় একটা ঢেউ এসে ওকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল সমুদ্রের গভীরে। ওর ইচ্ছেটা পূরণ করতে পেরে নিজেকে বেশ ফুরফুরে লাগছে। 

হাতে ছোট্ট একটা কাচের কৌটা। লিকুইডে ভাসছে একজোড়া চোখ। শ্রাবণীর চোখগুলো অসম্ভব সুন্দর ছিলো। আমি মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম কাচের কৌটায় রাখা ওর চোখগুলোর উপর। 

দুইমাস পরে বাড়ি থেকে জোর করে আমাকে আবারও বিয়ে দিলো। বাসর রাতে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলাম, 

"তোমার সবচেয়ে পছন্দের জিনিস কী?"

সে লাজুক হেসে বলল, 

"সমুদ্র।"

বুক সেলফের উপরে রাখা খালি কাচের কৌটা টা নিয়ে এসে নীলার সামনে বসলাম। খালি কাচের কৌটা টা ওর সামনে ধরে বললাম,

"এদিকে তাকাও।"

ও তাকাতেই আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। কী অপূর্ব সুন্দর এক জোড়া চোখ। আমি মুগ্ধ দৃষ্টিতে অপলক ওর চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম,

"তোমার চোখ জোড়া অনেক সুন্দর। আমায় দেবে?"

নীলা লাজুক হেসে বলল, 

"আমার সবটা তো আপনারই।"

পরদিন সকালেই নীলাকে নিয়ে হানিমুনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম কক্সবাজার। ওর চোখ জোড়া একটু বেশিই সুন্দর। আর দেরি সহ্য হলো না।

চলবে....... 🙂

𝐸𝓀 𝐵𝑒𝓁𝒶𝓇 𝐿𝒾𝓅𝒾𝓀𝒶 ☑