গুন্ডি প্রেমিকা(১ম পর্ব)

….. কিরে বিছানায় শুয়ে এমন ভাবে কাঁদছিস কেনো? (মা)

– মা …… (আমি)

– আরে কি হয়েছে কি বলবি তো?

– মা আমার সাথে না….. ?

– আমার সাথে না কি বল?

– আমার সাথে আজ জয়ন্তী ব্রেকাপ করে দিয়েছে!

– তাই বলে এভাবে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদবি? ইসস বালিস ভিজিয়ে ফেলেছিস কাদতে কাদতে!

– মা আমি ওরে ছাড়া থাকতে পারব না। ওকে এনে দাও প্লিজ?

– এই নিয়ে তোর ২৬ বার ব্রেকাপ হলো। প্রত্যেকবার তুই একই কথা বলিস।

– মা আমি আগের ২৫ টার চেয়ে এই ২৬ নাম্বার কে অনেক ভালোবাসি!

– চুপ একদম চুপ, বাচ্চাদের মতো আর কাদবিনা।

এখন ঘুমিয়ে পর। আর কাল তোর ছোট  মামার বিয়ে ওখানে জেতে হবে সব গুছিয়ে নিস?

– ওখানে গিয়ে আমি কি করব??

– কি করবি আবার মেয়ে পটাবি।😁(কাল্পনিক মা তো এমনি হয়)

– আবার…….?

– আবার নয়তো কি? ২৬ টা গেছে এবার ২৭ নাম্বার খুজবি।

– আমার ভালো লাগছে না? আমি যাবো না

– চুপ একদম চুপ! আর একটা কথাও না তুই যাবি এটাই ফাইনাল…….

তারপর ভদ্র ছেলের মতো মায়ের কথা মেনে নিলাম। আমার পরিচয় টা দিয়ে নেই আমি রুপক, সবে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে বি,এস,সি এডমিশন নিছি। আর আমার এই নিয়ে ২৬ বার ব্রেকাপ হয়ে গেলো। আমার ভাগ্যে কেউ এক মাসের বেশি টিকে না। আমি অনেক ভদ্র তো তাই সবাই আমারে ব্লক দিয়েছে/দেয়। কিন্তু আজ থেকে আমি আর ভদ্র হয়ে থাকব না এবার ফাজিল টাইপের হয়ে দেখি কি হয়। 

অতঃপর মামা বাড়িতে চলে আসলাম মাকে নিয়ে,, মামার বাড়ি বরিশাল কাউয়ারচর নদীর ওপার। যেতে ঘন্টাখানিক সময় লেগেছে।

অনেক লোকজন এসেছে বিয়েতে। আমি একটা ফাকা রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে একটা দিলাম ঘুম,, আর রাত ৮ টায় উঠলাম।

মোবাইল টা হাতে নিয়ে টিপছি আর এগোচ্ছি হঠাৎ একটা ধাক্কা মনে হলো……

– আউউউউউউউ, এই কুত্তা চোখে দেখিস না? কিভাবে হাটো বিয়ে বাড়িটা কি তোর একার নাকি? (একটা মেয়ে)

– এই যে কুত্তি আপনি চোখে দেখেন না? আপনি কানা নাকি?(আমি)

– ওই তুই কি বল্লি আমারে,,, আমি কুত্তি?

– আমি যদি কুত্তা হই তাহলে তো আপনি কুত্তিইইই।

– তোর সাহস তো কম নয় তুই আমার সাথে এভাবে কথা বলিস?

– আপনি যেভাবে বলছেন আমিও তো সেইই ভাবে বলছি।

– ওই তুই জানিস আমি কে?

– জানিতো আপনি একটা কুত্তি….?

– ঠাসসসস, ✋

তুই আর একবার যদি আমার সামনে আসিস তাহলে তোর প্যান্ট খুলে নিবো বলে দিলাম….?🥵

,

কি মেয়ে রে ভাই এতো রাগ কেনো এই মেয়ের,। বিয়ে বাড়িতে সবার সামনে ঠাসস করে থাপ্পর মারলো আর বলল আমার প্যান্ট….🙊🙈 । 

না আর এই মেয়ের সামনে যাবো না। দেখতে তো পুরাই ঝাক্কাস কিন্তু মেজাজ খানা তার থেকেও বেশি ঝাক্কাস। 🙄

কিন্তু বিয়ে বাড়িতে এমন করলে হয়।

– তুই এখানে আর সারা বাড়ি তোকে তন্ন তন্ন করে খুজতেছি। (মা)

-  😒😒……….? (আমি)

– চুপ করে আছিস কেনো? হ্যা রে কাউকে খুজে পাসনি এখনও??

– হ্যা পেয়েছিলাম একটা কুত্তি কে থাপ্পর মেরে চলে গেছে।🥺🥴

– কি জা'তা বলছিস এসব।

কি করেছিস তুই,,🙄 যে তোরে থাপ্পর মারলো মেয়েটা?

– কিচ্ছু করিনাই একটু মুখের উপর কথা বলছি ব্যাস। মা আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে আমি ঘুমাবো।

– সব ঘরেই তো লোকজনে ভরা আচ্ছা চল পুঁজার ঘরে দেখি ওখানে ঘুমাতে পারিস কি না।

– হুম! আচ্ছা চলো।

তারপর মা আমাকে পুঁজার ঘরে নিয়ে গেলেন। জানিনা কে পুঁজা। তবে ঘরটা অসম্ভব সুন্দর। একটা মেয়ের ঘর এতোটা সুন্দর হয় আগে জানতাম না ঘরে বিছানার মাঝে অনেক গুলো টেডিবিয়ার।

আমি আর কিছু না ভেবে ঘুমিয়ে পরলাম। 

কিচুক্ষন পর..

– ওই বান্দর তুই আমার ঘরে কেনো?

– ওমা এতো তখন কার মেয়েটি যে আমাকে থাপ্পর মারছে আর এখন বান্দর বলে ডাকছে। হয়তো ঘুমের মধ্যে বাদরামী করেছিলাম।🙉

 কি করব কিছুই বুঝতেছিনা তখন বলেছিলো আর একবার যদি তার সামনে পরি তাহলে আমার প্যান্ট……🤒

– না মানে ঘুমাবো তো তাই। (আমি)

– ঘুমাবি তো আমার ঘরে কেনো আর ঘর নেই। (পুঁজা) ( রেগে রেগে বলল)🤨

– আসলে সব ঘরেই লোকজনে ভরা তাই আপনার ঘরে মা নিয়ে এসেছে।

– তুই তখন আমায় কি বলেছিস হুম? আমি কুত্তি। দাড়া তোকে দেখাচ্ছি মজা!

– এই না না আমার কাছে আসবেন না। আমার ভুল হয়ে গেছে আর কখন ও কুত্তি বলব না।

– তোকে বলেছিলাম না,,,  যে আমি তোর কি যেন একটা খুলে নিবো.....?

-প্যান্ট খুলে নেয়ার কথা ছিলো (আমি)🥵

- হ্যা এখন ওটাই করব!😐

– এই না না প্লিজ বললাম তো আমার ভুল হয়ে গেছে। আর কাছে আসবেন না। আমাকে একা পেয়ে এভাবে অত্যাচার করতে পারেন নআ🥺😢😭

– তুই আমাকে চিনিস না আমি কেমন। এখন চিনবি তখন খুব তো মুখের উপর কথা বলেছিস এখন কেনো প্লিজ প্লিজ করছিস….

আমি আর কিছু না বলে ওকে এক ধাক্কা মেরে পালিয়ে গেলাম। যাক বাবা বাঁচলাম ধরতে পারলে মনে হয় সত্তিই আমার প্যান্ট……..😔😕😕

চলবে ……….